অরেঞ্জ লাইন বা নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো প্রকল্পের অন্যতম প্রধান বাধা চিংড়িঘাটা মোড়। সেই ৩৬৬ মিটার অংশের কাজ কবে শুরু হবে, তা নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় এল। রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (RVNL) দাবি করেছে, মাত্র ৩ দিন রাতে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করলেই তারা অসাধ্য সাধন করতে পারবে।
আদালতে কী জানাল আরভিএনএল? ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এদিন আরভিএনএলের আইনজীবী জানান:
৩ দিনের টার্গেট: যদি রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হয়, তবে মাত্র ৩ দিনেই আটকে থাকা কাজ শেষ করা সম্ভব।
ফেব্রুয়ারির আশ্বাস: পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।
রাজ্যের অবস্থান ও হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ: রাজ্য সরকার এদিন আদালতে জানায়, মেট্রোর কাজ তো বছরের পর বছর ধরে চলছে, তাই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রেলের অসুবিধা থাকার কথা নয়। তবে আদালত এই দীর্ঘসূত্রতায় খুব একটা সন্তুষ্ট নয়।
সোমবারের ডেডলাইন: ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, ফেব্রুয়ারি নয়, বরং আগামী জানুয়ারি মাসেই ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করে কাজ করা সম্ভব কি না, তা রাজ্যকে আগামী সোমবারের মধ্যে জানাতে হবে।
কেন এই কাজ এত গুরুত্বপূর্ণ? চিংড়িঘাটার এই ৩৬৬ মিটার অংশটি জোড়া না লাগলে অরেঞ্জ লাইনের পূর্ণাঙ্গ পরিষেবা শুরু করা অসম্ভব। এই জটের কারণেই নিউ গড়িয়া থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত মেট্রো চলাচলে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে চিংড়িঘাটা মোড়। আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।