বাংলাদেশের ময়মনসিংহের ভালুকায় হিন্দু যুবক দীপু চন্দ্র দাসকে (২৭) নৃশংসভাবে পিটিয়ে ও আগুনে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। যে ‘ধর্মীয় অবমাননার’ অভিযোগে তাকে প্রাণ দিতে হয়েছে, তার কোনো সত্যতা পায়নি খোদ বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (RAB)।
ময়মনসিংহের কোম্পানি কমান্ডার মহম্মদ সামসুজ্জামান আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দীপু দাস ফেসবুক বা অন্য কোথাও ইসলাম ধর্ম নিয়ে কোনো আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন—এমন কোনো প্রমাণ মেলেনি। এমনকি তার কারখানার সহকর্মী বা স্থানীয় বাসিন্দারাও এমন কোনো ঘটনার কথা শোনেননি। কমান্ডার বলেন, “সকলেই এখন বলছেন, কেউই ব্যক্তিগতভাবে দীপুকে কিছু বলতে দেখেননি বা শোনেননি।” অর্থাৎ, নিছক গুজবের ওপর ভিত্তি করেই এক নিরীহ পোশাক শ্রমিককে বলি দেওয়া হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এক ভয়াবহ ভিডিওতে দেখা গেছে, উন্মত্ত জনতা প্রথমে দীপুকে বেধড়ক মারধর করে। এরপর অর্ধমৃত অবস্থায় তাকে রাস্তার ধারের একটি গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। সেখানেই তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় উগ্রবাদীরা। যখন দীপু জ্যান্ত পুড়ে মরছিলেন, তখন চারপাশে ভিড় করে থাকা মানুষ উল্লাস করছিল এবং মোবাইলে ভিডিও তুলছিল। এই পৈশাচিক ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রশ্ন উঠছে, বিনা প্রমাণে এই গণহিংসার দায় নেবে কে?