কাগজ থেকে এবার মাঠে! ইউপিতে খেলাধুলোর উন্নয়নে যোগী আদিত্যনাথের ‘নো কম্প্রোমাইজ’ নীতি

উত্তর প্রদেশে খেলাধুলার বিকাশ এখন আর শুধু নথিপত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই; মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের স্পষ্ট নির্দেশে তা এবার বাস্তবায়িত হচ্ছে। সম্প্রতি ৬৯তম জাতীয় স্কুল গেমসের বিজয়ীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি ঘোষণা করেছেন, ক্রীড়া ক্ষেত্রে কোনো স্তরেই আপস করা হবে না। সরকারের লক্ষ্য এখন শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত খেলার সুবিধা পৌঁছে দেওয়া।

প্রতিটি ব্লক পর্যন্ত শক্তিশালী খেলার পরিকাঠামো

মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কড়া নির্দেশ অনুসারে, রাজ্য সরকার একই সঙ্গে প্রদেশের ৭৫টি জেলায় স্টেডিয়াম এবং প্রতিটি ব্লকে মিনি স্টেডিয়াম তৈরির কাজ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু করে দিয়েছে। পরিকাঠামোকে জোরদার করতে ১৮টি জেলার সরকারি কলেজগুলিতে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য প্রায় ৫ কোটি টাকা করে মঞ্জুরি দেওয়া হয়েছে।

শুধু পরিকাঠামো নয়, এবারই প্রথম ব্যাপক স্তরে আর্থিক সাহায্যও দেওয়া হচ্ছে। খেলাধুলার সরঞ্জাম কেনার জন্য কলেজগুলিকে ২৫,০০০ টাকা, জুনিয়র হাই স্কুলগুলিকে ১০,০০০ টাকা এবং প্রাথমিক স্কুলগুলিকে ৫,০০০ টাকার বিশেষ অনুদান দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি, মেরঠে হকি কিংবদন্তি মেজর ধ্যানচাঁদের নামে আন্তর্জাতিক মানের স্পোর্টস ইউনিভার্সিটি তৈরির কাজও দ্রুত চলছে, যা উত্তর ভারতের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হয়ে উঠবে।

২০৩০ সালের লক্ষ্য: ‘বিকশিত ভারত’-এর ভিত্তিপ্রস্তর হবে ইউপি

মুখ্যমন্ত্রী যোগী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন যে, সুস্থ যুবকরাই একটি শক্তিশালী ভারতের ভিত্তি তৈরি করবে এবং এই প্রক্রিয়া খেলাধুলা থেকেই শুরু হয়। এই লক্ষ্য নিয়ে তিনি তরুণ খেলোয়াড়দের ২০৩০ কমনওয়েলথ গেমসে (Commonwealth Games) সেরা পারফরম্যান্স করার জন্য অনুপ্রাণিত করেছেন। তাঁর মতে, বর্তমান অনূর্ধ্ব-১৭ এবং অনূর্ধ্ব-১৯ খেলোয়াড়রাই ২০৩০ কমনওয়েলথ গেমসের মেরুদণ্ড হবেন।

কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, ইউপিতে যেভাবে খেলার পরিকাঠামো তৈরি হচ্ছে, তাতে শীঘ্রই রাজ্যটি হরিয়ানা, পাঞ্জাব এবং মহারাষ্ট্রের মতো ঐতিহ্যবাহী শক্তিশালী রাজ্যগুলিকে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেবে এবং শীর্ষ ৩টি রাজ্যের মধ্যে নিজেদের জায়গা করে নেবে। এর মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘বিকশিত ভারত’ (Viksit Bharat) এর স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেবে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy