শুক্রবার কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনের সামনে এক বিশাল প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হন তিনি। নিহত দীপুচন্দ্রের ছবি গলায় ঝুলিয়ে মিছিলে নেতৃত্ব দেন শুভেন্দু। সঙ্গে ছিলেন অগণিত সাধু-সন্ত ও সনাতনী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। ডেপুটি হাই কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর এই অত্যাচার আর বরদাস্ত করা হবে না।
১০০ কোটি হিন্দুর হুঁশিয়ারি: ডেপুটি হাই কমিশনের দফতর থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ওপারে ২ কোটি হিন্দু আছে। তাঁদের ওপর অত্যাচার হবে, তরতাজা যুবকদের পুড়িয়ে মারা হবে, আর এপারের ১০০ কোটি হিন্দু বসে বসে দেখবে—এ জিনিস হতে পারে না। আমরা পরিষ্কার জানতে চেয়েছি, হিন্দু নির্যাতন কবে বন্ধ হবে?” তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে বিনাপরাধে জেলে আটকে রাখা হয়েছে।
পুলিশকে আক্রমণ: এদিন শুভেন্দুর নিশানায় ছিল রাজ্য পুলিশও। তিনি অভিযোগ করেন, “মোল্লা ইউনূসের পুলিশ আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ একই। মঙ্গলবার শান্তিকামী হিন্দুদের ওপর বেপরোয়া লাঠিচার্জ করেছে মমতার পুলিশ। সাধুদের মারা হয়েছে, মা-বোনেদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৯ জনকে বন্দি করেছিল পুলিশ। লজ্জা লাগে এই ঘটনা দেখে।”
দীপুচন্দ্র দাসের বিচার চাই: নিহত হিন্দু যুবক দীপুচন্দ্র দাসের প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু বলেন, “ওঁর অপরাধ কী ছিল? উনি তো স্মার্টফোনও ব্যবহার করতেন না, একটা আড়াইশো টাকার ফোন ছিল ওঁর কাছে। সম্পূর্ণ সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যে ওঁকে পুলিশের হেফাজত থেকে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে মারা হয়েছে।” ডেপুটি হাই কমিশন সূত্রে শুভেন্দুকে জানানো হয়েছে যে এই ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের জামিন হবে না। সরকার পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাস দিলেও, শুভেন্দু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে ক্ষতিপূরণ নয়, হিন্দুদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
শুভেন্দু অধিকারীর এই প্রতিবাদ এবং হাই কমিশনে ডেপুটেশন দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছে কলকাতার রাজপথ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।