আজ শুভ বড়দিন। হাড়কাঁপানো ঠান্ডার আমেজে প্রভু যিশুর জন্মদিন উদ্যাপনে মেতেছে গোটা বিশ্ব। বাদ নেই পশ্চিমবঙ্গও। বিশেষ করে হুগলি জেলার ঐতিহ্য়বাহী ব্যান্ডেল, চন্দননগর ও শ্রীরামপুরের চার্চগুলিতে সকাল থেকেই মানুষের ঢল নেমেছে। বুধবার রাত ১২টা বাজতেই চার্চের ঘণ্টা ধ্বনি আর বিশেষ প্রার্থনার মাধ্যমে শুরু হয়েছে যিশু বন্দনা।
ব্যান্ডেল চার্চের ইতিহাস ও বিশেষত্ব: ১৫৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই চার্চের সাথে জড়িয়ে আছে মুঘল সম্রাট শাহজাহানের ইতিহাস। কথিত আছে, পোর্তুগিজদের সাথে যুদ্ধের পর এই চার্চ ধ্বংস করা হলেও, ফাদারের অলৌকিক ক্ষমতায় মুগ্ধ হয়ে শাহজাহান নিজেই জমি ও অর্থ দান করেন গির্জা তৈরির জন্য। ভিড় সামলাতে ২৫ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারি দর্শনার্থীদের জন্য চার্চের অন্দরমহল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ফাদার জন পি চালিল। তবে বাইরে থেকে আলোকসজ্জা ও গোশালা দেখার সুযোগ থাকছে।
ফরাসি ও দিনেমার ঐতিহ্য়: চন্দননগরের ফরাসি স্থাপত্যের নিদর্শন ‘সেক্রেড হার্ট চার্চ’ এবং শ্রীরামপুরের ১৮০৬ সালে নির্মিত দিনেমার স্থাপত্যের ‘সেন্ট ওলাভস চার্চ’-এও উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। বেলজিয়াম কাচ আর বিশাল স্তম্ভের কারুকাজ দেখতে ভিড় করেছেন অগণিত পর্যটক।
কড়া নিরাপত্তা: উৎসবের ভিড়ে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চন্দননগর কমিশনারেট ড্রোন ও সিসিটিভি-র মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে। পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানিয়েছেন, জিটি রোড ও দিল্লি রোডে বিশেষ নাকা চেকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।