বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এনডিএ (NDA) জোটের প্রচারে যোগ দিয়ে বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ (INDIA) জোটকে তীব্র আক্রমণ করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সোমবার দারভাঙ্গায় এক জনসভায় বক্তৃতা করার সময় তিনি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব এবং সমাজবাদী পার্টির (SP) প্রধান অখিলেশ যাদবকে সরাসরি নিশানা করেন এবং একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন।
🐒 গান্ধীর তিন বাঁদরের সঙ্গে তুলনা
দারভাঙ্গার কেওটি-তে (Keoti) নির্বাচনী জনসভায় যোগী আদিত্যনাথ বিরোধী জোটের শীর্ষ তিন তরুণ নেতাকে মহাত্মা গান্ধীর বিখ্যাত ‘তিন বাঁদরের’ সঙ্গে তুলনা করেন।
যোগী বলেন,
“মহাত্মা গান্ধীর যেমন তিনটি বাঁদর ছিল, ঠিক তেমনই আজ ‘ইন্ডিয়া’ জোট পাপ্পু, টপ্পু এবং আপ্পু নামে তিনটি নতুন বাঁদরকে এনেছে।”
তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, ‘পাপ্পু’ (রাহুল গান্ধী) সত্য বলতে পারেন না, ‘টপ্পু’ (তেজস্বী যাদব) কোনও সত্য দেখতে পান না এবং ‘আপ্পু’ (অখিলেশ যাদব) কোনও সত্য শুনতে পান না। তিনি অভিযোগ করেন, এই নেতারা রাজ্যের উন্নয়নের সত্যকে এড়িয়ে চলছেন।
🔫 ‘অপরাধীদের আলিঙ্গন’ এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আরজেডি-কংগ্রেস জোটের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনেন যে তারা অপরাধীদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে এবং রাজ্যে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে দিচ্ছে।
যোগী আদিত্যনাথের অভিযোগ:
অপরাধীদের আলিঙ্গন: আরজেডি, কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টি বিহারে অপরাধীদের আলিঙ্গন করছে।
অনুপ্রবেশের সুযোগ: এই দলগুলি অনুপ্রবেশকারীদের সুযোগ দিচ্ছে, যা রাজ্যের নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
লুঠপাট: আরজেডি-কংগ্রেসের শাসনে গরিবদের জন্য বরাদ্দ রেশন লুট করা হয়েছে।
জাতিগত বিভেদ: এই নেতারা জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টা করেন এবং দাঙ্গা perpetuate করেন।
তিনি হুঁশিয়ারি দেন যে এই ধরনের নেতারাই মাফিয়াদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন এবং বন্দুক ও পিস্তল দিয়ে বিহারের পুরো ব্যবস্থাকে কলুষিত করেছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আক্রমণের রেশ ধরেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তার কড়া ‘হিন্দুত্বর’ ভাবমূর্তি ব্যবহার করে বিরোধী জোটকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করলেন। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণের আগে এনডিএ-র এই আক্রমণাত্মক প্রচার নিঃসন্দেহে রাজ্যের রাজনীতিতে উত্তাপ বাড়াবে।