বাজার থেকে পণ্য কেনা হোক বা অনলাইন শপিং—ক্রেতাদের প্রতারিত হওয়ার ঘটনা এখন নিত্যদিনের। কখনও পচা খাবার, কখনও আসল পণ্যের বদলে নকল দ্রব্য, আবার কখনও এমআরপির (MRP) চেয়ে বেশি দাম আদায়। এই ধরণের জালিয়াতি রুখতে এবার কোমর বেঁধে ময়দানে নামল মালদহ জেলা ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর। আগামী প্রজন্মকে সচেতন করতে স্কুল ও কলেজের পড়ুয়াদের নিয়ে বিশেষ ‘উপভোক্তা সংঘ’ বা ‘কনজিউমার ক্লাব’ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে মালদহ গভার্নমেন্ট আইটিআই (ITI) ক্যাম্পাসে একটি বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। যেখানে আইটিআই-এর শতাধিক পড়ুয়ার সামনে অনলাইন ও অফলাইন কেনাকাটার বিপত্তিগুলো তুলে ধরেন ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর ও সাইবার ক্রাইম থানার আধিকারিকরা। দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর তন্ময় সেনগুপ্ত জানান, “অনলাইন কেনাকাটা বা কিউআর কোড ভিত্তিক লেনদেনের সময় উপভোক্তারা প্রায়ই আর্থিক প্রতারণার শিকার হন। পড়ুয়ারা যদি সচেতন হয়, তবে তারাই সমাজের বাকি মানুষদের পথ দেখাতে পারবে।”
আইটিআই পড়ুয়া প্রিয়া রায়ের কথায়, “মোবাইলে কেনাকাটা করে ঠকে গেলে বা খারাপ জিনিস পেলে কীভাবে অভিযোগ জানাতে হবে, সেই আইনি পথগুলো আমরা জানতাম না। আজ আমাদের একটি টোল-ফ্রি নম্বর দেওয়া হয়েছে, যেখানে সরাসরি অভিযোগ জানানো যাবে।” আধিকারিকদের মতে, বর্তমান প্রজন্মের হাতেই স্মার্টফোনের চাবিকাঠি, তাই তাদের নিয়ে গঠিত এই ‘কনজিউমার ক্লাব’ আগামী দিনে ডিজিটাল ইন্ডিয়ায় প্রতারণা রুখতে ঢাল হিসেবে কাজ করবে।