স্তন ক্যানসারের ক্লিনিক্যাল লক্ষণ গুলি বুঝেনিন পাঁচ বছর আগেই ,কিভাবে সম্ভব দেখুন

স্তন ক্যানসারের ক্লিনিক্যাল লক্ষণ দেখা দেওয়ার পাঁচ বছর আগেই তা জানিয়ে দেওয়া সম্ভব। হাতে যথেষ্ট সময় পাওয়ায় রোগী ও চিকিত্‍‌সক সেই মতো সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে পারেন। সম্প্রতি এমনটা বললেন গবেষকেরা।

তাদের মতে, সাধারণ রক্ত পরীক্ষাতেই স্তন ক্যানসারের আশঙ্কা নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। একবার রক্ত পরীক্ষা নেগেটিভ হলে পরবর্তী পাঁচ বছর মোটামুটি নিশ্চিন্তে থাকা যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের গ্লাসগোয় রবিবার অনুষ্ঠিত এক কনফারেন্সে স্তন ক্যানসার নিয়ে এই গবেষণার জানায় ন্যাশনাল ক্যানসার রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এনসিআরআই)। টিউমার কোষ থেকে উৎপাদিত পদার্থের প্রতি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা, রক্ত পরীক্ষায় তা যাচাই করা হয়। এই পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণ করে, সহজেই স্তন ক্যানসার নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব বলে দাবি গবেষক দলটির।

ক্যানসার কোষ শরীরে প্রোটিন উত্‍‌পাদন করে, যাকে বলা হয় অ্যান্টিজেন। এই অ্যান্টিজেন শরীরকে অ্যান্টিবডি তৈরিতে চালিত করে। যাকে বলা হচ্ছে, অটো-অ্যান্টিবডিস। গবেষকরা দেখেছেন, এই টিউমার-অ্যাসোসিয়েটেড এজেন্টস ক্যানসারের ইন্ডিকেটরের কাজ করে। স্তন ক্যানসারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এই টিউমার-অ্যাসোসিয়েটেড এজেন্টস শনাক্ত করারই উপায় বের করেছেন তারা। সামান্য রক্তপরীক্ষা করেই তা বলে দেওয়া সম্ভব।

শুরুতে স্তন ক্যানসার আক্রাম্ত ৯০ জন রোগীর রক্তের নমুনা নেন গবেষকেরা। একইসঙ্গে স্তর ক্যানসার আক্রান্ত নন, এমন আরও ৯০ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।

বর্তমানে স্তন ক্যানসারের পরীক্ষায় ম্যামোগ্রাফি করানো হয়। গবেষকেরা জানান, ম্যামোগ্রাফির তুলনায় নতুন পদ্ধতি অনেকটাই সহজ। এর খরচও কম।

নটিংহম ইউনিভার্সিটির গবেষক দানিয়াহ আল ফাত্তানি মনে করেন, এ নিয়ে আরও বিশদ গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। তবে গবেষণার ফল তাদের জন্য যথেষ্টই উদ্দীপক। কারণ এখনই আগাম স্তন ক্যানসার শনাক্ত করা যাচ্ছে। রক্তপরীক্ষা আরও নির্ভুল করাই গবেষকদের পরবর্তী লক্ষ্য।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy