শ্যাম্পু করার সঠিক নিয়ম জানেন কি? না জানলে এক্ষুনি জেনেনিন

চুলের যত্নে নিয়মিত করা চাই শ্যাম্পু আর কন্ডিশনিং। কাজেই শ্যাম্পু করার সময় ও তার আগে পরে যদি কিছু নিয়ম মেনে চলেন, তাহলে চুল থাকবে সুন্দর। তাই শ্যাম্পু করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলুন-

১. চুলে স্টিম নিলে চুলের গোড়ায় জমে থাকা খুশকি ও নোংরা আলগা হয়ে উঠে আসে। চুলে স্টিম নিতে হলে একটা তোয়ালে গরম জলে ডুবিয়ে নিংড়ে মাথায় জড়িয়ে রাখুন। ২০ মিনিট রেখে তারপর শ্যাম্পু করুন।

২. শ্যাম্পু করতে শুরু করার আগে চুলের গোড়ায় গোড়ায় আঙুল চালিয়ে কয়েক মিনিট মাসাজ করে নিলে ময়লাগুলো আলগা হয়ে উঠে আসবে, দুর্বল চুলও উঠে যাবে।

৩. গরম জলে চুলের স্বাভাবিক তেল নষ্ট করে চুল রুক্ষ করে দেয়, অন্যদিকে ঠান্ডা জল চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে, ফলে শ্যাম্পু করার পর চুল অনেক বেশি জেল্লাদার আর চকচকে দেখায়।

৪. চুলে শ্যাম্পু লাগানোর সঙ্গে সঙ্গেই চুলের স্বাভাবিক তেলের আস্তরণটি নষ্ট হয়ে যায়, চুল রুক্ষ বিবর্ণ হয়ে পড়ে। তাই শ্যাম্পু শুধুমাত্র স্ক্যাল্পেই লাগাবেন, ভালো করে মাসাজ করে ফেনা করে নেবেন। সেই ফেনাই বাকি চুলে লেগে চুল পরিষ্কার রাখবে।

৫. শ্যাম্পুতে ফেনা তোলার জন্য আঙুলের ডগা দিয়ে চুলের গোড়ায়, মাথার তালুতে কোমলভাবে মাসাজ করুন। স্ক্যাল্পে জমে যাওয়া ময়লা সব উঠে আসবে। তা ছাড়া মাসাজের ফলে চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন হবে, ফলে চুলের গোছও ভালো থাকবে।

৬. বেশিরভাগ শ্যাম্পুতেই কিছু না কিছু কেমিক্যাল থাকে যা রোজ ব্যবহার করলে চুল রুক্ষ আর কর্কশ হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। সপ্তাহে দু’বার, বড়োজোর তিনবারের বেশি শ্যাম্পু করবেন না।

৭. বেশিক্ষণ ধরে শ্যাম্পু করবেন না, তাতে চুল খুব দুর্বল হয়ে পড়বে। চুল ভেজানোর পর ১৫ মিনিটের মধ্যে শ্যাম্পু আর কন্ডিশনিং, দুটোই সেরে ফেলুন।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy