মশা তাড়াতে এই পাতাই যথেষ্ট অবাক হবেন শুনেও

বেড়েছে মশার উৎপাত। মশার কামড় থেকে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়ার ভয়ও রয়েছে। তাই শহর বা মফস্বলের বাসিন্দাদের মশা দূর করার ব্যাপারে তৎপর হওয়া উচিত।

আমাদের চারপাশেই রয়েছে এমন অনেক গাছপালা, যেগুলোর ভেষজ গুণ বহুমাত্রিক। শিকড়, কাণ্ড কিংবা পাতা ব্যবহার করে বেশ কিছু সমস্যা থেকে মিলতে পারে রেহাই। তেমনই একটি গাছ লেমন বাম। বাংলায় খুব একটা পরিচিত না হলেও যারা বাগান করতে ভালবাসেন, তাদের অনেকেই এই গাছটি সম্পর্কে অবগত। ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও পশ্চিম এশিয়ার বহু দেশে এই গাছ দেখা যায়।

বিজ্ঞানসম্মত নাম, মেলিসা অফিসিনালিস। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ত্বকের সমস্যা কমাতে ও দৈনন্দিন বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এই পাতা ব্যবহার করা হয়।

কী কী কাজে লাগে লেমন বাম?

ব্রণ কমাতে

লেমন বামে রয়েছে জীবাণুনাশক ও প্রদাহনাশক গুণ। ফলে মুখের ক্ষত ও জ্বালা-যন্ত্রণার সমস্যা কমাতে কাজে আসতে পারে এই ভেষজ। বিশেষ করে ব্রণের সমস্যা কমাতে অনেকেই এই পাতা ব্যবহার করেন। মুখের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব দূর করতেও বেশ কার্যকর এই পাতা। জলে ফুটিয়ে সেই জল দিয়ে ধোয়া যেতে পারে মুখ।

বয়সের ছাপ কমাতে

ত্বকের কোষে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে কাজে আসতে পারে লেমন বাম। আর কোষে রক্তসঞ্চালন ভাল হলে দূর হয় বলিরেখার সমস্যা। কমে বয়সের ছাপ। ত্বক টানটান রাখতে ও স্বাভাবিক জেল্লা ফিরিয়ে আনতেও কাজে লাগতে পারে এই লেমন বাম গাছের পাতা।

সানস্ক্রিন হিসেবে

লেমন বামে থাকে ক্যাফেইক ও রোজমারিনিক অ্যাসিড নামে দু’টি উপাদান। এই দুই উপাদান রোদের হাত থেকে ত্বক রক্ষা করতে সাহায্য করে। তাই প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন হিসেবে এই পাতা ব্যবহার করা যায়। অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে হওয়া ত্বকের ক্ষতি আটকাতে কাজে আসতে পারে লেমন বাম।

পোকামাকড় দূরে রাখতে

যে হারে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া বাড়ছে, তাতে মশার কামড় খাওয়া যত কমবে, ততই মঙ্গল। লেমন বামের পাতা বেটে মাখলে, তা দূরে রাখতে পারে পোকামাকড়। তবে মুখে সরাসরি এই পেস্ট লাগাবেন না।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy