জীবনযাত্রায় বদল ও ভুল খাদ্যাভাসে বাড়ছে বন্ধাত্ব। কোনো কোনো দেশে জেনারেশন গ্যাপ সৃষ্টি করছে।
পরিসংখ্যান বলছে ৩০-৫০ শতাংশ বন্ধ্যাত্বের জন্য দায়ি পুরুষরাই। বন্ধ্যাত্বের চিকিত্সা অবশ্যই আছে, তবে তা বেশ ব্যয়সাপেক্ষ।
তবে অনিয়মিত ডায়েট, মাত্রাতিরিক্ত মানসিক বা শারীরিক চাপ ছাড়াও আরও একটি কারণ সম্প্রতি সামনে এসেছে যা পুরুষের জীবনযাত্রার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, একটি অভ্যাস যা পুরুষের বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে অনেকটাই। আর সেই অভ্যাসটি হল দাড়ি কামানোর সময় শেভিং ক্রিমের ব্যবহার।
গবেষকরা বলছেন, বাড়িতে বা সেলুনে দাড়ি কাটার সময় সুগন্ধি, দামী শেভিং ক্রিম আর আফটার শেভ ব্যবহার করলে স্পার্ম (বীর্য) কাউন্ট কমে যেতে পারে!
মার্কিন গবেষণার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, যেসব পুরুষেরা দাড়ি কামানোর সময় শেভিং ক্রিমের ব্যবহার করেন তাদের স্পার্ম কাউন্ট কমে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে৷
ম্যাসাচ্যুসেটস আমহার্স্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা তাঁদের ওই রিপোর্টে বলেছেন, অধিকাংশ শেভিং ক্রিমেই মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিকের ব্যবহার বাড়িয়ে তুলছে আশঙ্কা।
রাসায়নিক মিশ্রিত এই ক্রিমগুলির ব্যবহারের ফলে শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। ত্বক ও স্বাস্থ্যের ক্ষতির সঙ্গে সঙ্গে কমে যেতে পারে শুক্রাণু উৎপাদন ক্ষমতাও।
প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, বেশ কিছু শেভিং ক্রিমে মিলেছে থ্যালেট নামের এক ধরনের রাসায়নিকের উপস্থিতি।
প্লাস্টিকের জিনিসপত্রের নমনীয়তা বাড়ানোর জন্য সাধারণত এই রাসায়নিকের ব্যবহার করা হয়। এই থ্যালেট শুক্রাণুর প্রোটিনকে ভেঙে দেয়। ফলে শুক্রাণু পরিণত হতে পারে না এবং এর উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দেয়।
গবেষকদের মতে, একটি শুক্রাণুর পরিণত হতে স্বাভাবিকভাবে সময় লাগে ৭২ দিন। থ্যালেটের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শুক্রাণুর প্রোটিন। ফলে বাধাপ্রাপ্ত হয় সেই প্রক্রিয়া। যার ফলেই কমে যেতে পারে স্পার্ম কাউন্ট। শুধু তাই নয়, কর্মক্ষমতাও হারাতে পারে শুক্রাণু। ফলে পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়।bs