ফিটনেস: সাঁতারের উপকারিতা ও সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে, জেনেনিন বিস্তারিত

দৌড়ের মতো সাঁতার চমৎকার এক ব্যায়াম। সাঁতার আবার পুরো শরীরের ব্যায়ামের জন্য খুব উপকারী। তবে এই উপকারের কতটুকু কাজে লাগানো যাবে তা নির্ভর করে সাঁতারের ওপর। সোজা কথায় কিভাবে সাঁতার অনুশীলন করা হচ্ছে তার ওপরই নির্ভর করে উপকারিতা।

পুকুরে বিভিন্নভাবে সাঁতার অনুশীলন করা যায়। চিত হয়ে সাঁতার কাটা যায়, এভাবে ধীরে ধীরে সাঁতরালে খুব একটা শক্তিও ব্যয় করতে হয় না। আবার ব্রেস্ট স্ট্রোক সাঁতারে হাত, পা, কাঁধ, নিতম্ব এবং আরো অংশ ব্যবহার হয়। যদি দ্রুত সাঁতার কাটা হয়, অর্থাৎ অন্যের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামা হয় তাহলে সেই সাঁতার থেকে হৃৎপিণ্ডেরও উপকার হয়। দ্রুত সাঁতরানোর সময় শক্তি সরবরাহের জন্য হৃৎপিণ্ড দ্রুত কাজ করে। শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হওয়ার কারণে ফুসফুসও শক্তিশালী হয়।

কিছু ইনজুরি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সাঁতার দারুণ এক ব্যায়াম। ধরা যাক, আপনি একজন দৌড়বিদ। স্বাভাবিক ইনজুরির কারণে দৌড়ের ধকলটা হাঁটুর পক্ষে সহ্য করা সম্ভব হচ্ছে না। এমন ক্ষেত্রে নিয়মিত সাঁতারে আপনি উপকার পেতে পারেন। শুধু তা-ই নয়, দৌড়, সাইক্লিং এবং ফিটনেসের জন্য অনুশীলনের আগে ও পরে সাঁতার দারুণ উপকারী। কেননা সাঁতার হার্টবিট, রক্ত সঞ্চালন এবং মাংসপেশিকে উষ্ণ হতে সহায়তা করে। তা ছাড়া সাঁতারে কোনো একটি বিশেষ অঙ্গেরও ব্যায়াম সহজেই করা যায়। যেমন শুধু হাতের ব্যায়াম করতে চাইলে লম্বা একটা ভাসমান বোর্ডের ওপর লম্বা হয়ে শুয়ে শুধু হাত ঘোরালেই হলো। একইভাবে শুধু পায়ের ব্যায়ামও করা যায়।

সাঁতার চমৎকার এক ব্যায়াম হলেও এর কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। যদি আপনার লক্ষ্য হয় আকর্ষণী মাসল তৈরি করা, তাহলে সাঁতার থেকে খুব বেশি উপকার পাওয়া যাবে না। সে ক্ষেত্রে আপনাকে অন্য ব্যায়াম বেছে নিতে হবে। একইভাবে হাড় শক্ত করার লক্ষ্য থাকলেও অন্য ব্যায়ামের প্রতি মনোযোগী হতে হবে আপনাকে। কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও সাঁতার চমৎকার এক ব্যায়াম। সাঁতারে শরীরের সব অঙ্গের যেমন ব্যবহার হয়, তেমনি হৃৎপিণ্ড, ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ে।bs

♦ মাসল গঠনের জন্য সাঁতার থেকে খুব বেশি উপকার পাওয়া যাবে না।

♦ দৌড় বা সাইক্লিংয়ের আগে সাঁতার দারুণ উপকারী।

♦ সাঁতারে রক্ত সঞ্চালনের গতি বাড়ে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy