প্রেমহীন জীবনের চেয়ে প্রেমময় জীবনটাই যেন অনেক সুন্দর। প্রেম ভালবাসাহীন জীবন মোটেই সুখকর নয়। প্রেমের কোনও বয়স হয় না। যে কোনও বয়সেই প্রেম আসতে পারে। চাণক্য কেবল রাজনীতি নিয়েই সকলকে উপদেশ দেয়নি, বরং মানবজীবনে প্রেমের গুরুত্ব নিয়েও উপদেশ দিয়েছিলেন চাণক্য। প্রত্যেকেরই জীবনে কোনও না কোনও সমস্যা রয়েছে। আর সেই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে খুব সহজেই। বিশেষত যে সমস্ত পুরুষরা প্রেমে সফলতা পেতে চান, তার অবশ্যই চাণক্যের এই সহজ নীতি অনুসরণ করে চলতে পারেন। চাণক্যের নীতিতে এমন ধরনের পুরুষের কথা বলা হয়েছে যারা কখনওনই প্রেমে ব্যর্থ হয় না। আর আপনিও যদি প্রেমে ব্যর্থ হতে না চান তাহলে অবশ্যই মেনে চলুন এই নীতি।
সম্মান জানায় যে পুরুষ
চাণক্যের মতে, যে সমস্ত পুরুষেরা নিজের পরিবার, স্ত্রী, প্রেমিকাকে শ্রদ্ধা করে, সম্মান জানায় এবং সম্মানের সঙ্গে স্ত্রীর প্রতি ভদ্র ব্যবহার করে তারাই সঠিকভাবে এবং সফলভাবে নিজেদের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। এই ধরনের পুরুষেরা তাদের সঙ্গীর গুরুত্বকে মর্যাদা দেয়। কখনওই তাদের উপেক্ষা করে না।
পরকীয়ায় নারাজ
যে সমস্ত পুরুষেরা নিজের প্রেমিকা বা স্ত্রী থাকাকালীন অন্য কোনও মহিলার প্রতি কু-দৃষ্টিতে নজর দেয় না, বা অন্য কারোর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে না তারা খুব সহজেই সারাজীবন প্রেমের সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে পারে।
সুরক্ষা প্রদান
যখন কোনও মেয়ে নিজের পরিবার ছেড়ে অন্যের বাড়িতে চলে আসে তার অর্থ হল সেই নারী তার সঙ্গীকে সবথেকে বেশি ভালবাসে এবং বিশ্বাস করে। চাণক্য মতে, এহেন পরিস্থিতিতে সমস্ত পুরুষেরই উচিত সেই নারীর পাশে থাকা এবং তার সুরক্ষা প্রদান করা। শুধু তাই নয়, তার সমস্ত সমস্যার দিকেও খেয়াল রাখা।
শারীরিক তৃপ্তি
সম্পর্কের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক আসবেই। আর তা বজায় রাখা দুজনেরই কতর্ব্য। একজন পুরুষের উচিত সবসময় তার স্ত্রীকে উপলব্ধি করানো যে তিনি সবথেকে উপযুক্ত ব্যক্তি। মানসিক শান্তির পাশাপাশি তাকে শারীরিক তৃপ্তিও দেওয়াটাও একজন পুরুষের কতর্ব্য। এতে দুজনের সম্পর্ক অটুট থাকে।