মুখের রুচি বাড়াতে বা খাবারের স্বাদ বদলাতে আচারের জুড়ি মেলা ভার। বিশেষ করে কাঁচা ফল দিয়ে তৈরি আচার অনেকেরই প্রিয়। তবে শুধু ফল নয়, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ কিংবা রসুনের আচারও কি জিভে জল এনে দেয় না? রসুন এমনিতেই একটি উপকারী ভেষজ। আর এটি দিয়ে তৈরি আচার শুধু সুস্বাদুই নয়, স্বাস্থ্যকরও বটে। চলুন জেনে নেওয়া যাক মজাদার রসুনের আচার তৈরির সহজ রেসিপি:
তৈরি করতে যা লাগবে:
রসুন: দেড় কেজি
সরিষা বাটা: ১ কাপ
আদা বাটা: ৩ টেবিল চামচ
পাঁচফোড়ন: ৩ চা চামচ
হলুদের গুঁড়া: ১ চা চামচ
মরিচের গুঁড়া: ১ চা চামচ
লেবুর রস বা ভিনেগার: ২ কাপ
সরিষার তেল: পরিমাণমতো
চিনি: স্বাদমতো
লবণ: পরিমাণমতো
যেভাবে তৈরি করবেন:
১. প্রথমে একটি পাত্রে আদা বাটা, সরিষা বাটা ও ভিনেগার অথবা লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে ভালোভাবে গুলে নিন।
২. এরপর চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে তাতে পরিমাণমতো সরিষার তেল দিন। তেল গরম হলে তাতে পাঁচফোড়ন দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে নিন।
৩. এবার চুলার আঁচ একদম কমিয়ে দিন এবং কড়াইয়ে আদা ও সরিষা বাটার মিশ্রণ, হলুদের গুঁড়া ও মরিচের গুঁড়া দিয়ে ভালোভাবে নাড়তে থাকুন। মশলাগুলো তেলের সঙ্গে মিশে গেলে রসুন কোয়াগুলো ঢেলে দিন এবং আবারও নাড়তে থাকুন।
৪. চুলার আঁচ সামান্য বাড়িয়ে দিন। যখন তেল ও মশলা ফুটতে শুরু করবে, তখন কড়াইয়ের মুখ ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন।
৫. রসুন সেদ্ধ হয়ে এলে চুলার আঁচ একেবারে কমিয়ে দিন। এরপর স্বাদমতো চিনি ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
৬. আচারটি মাঝে মাঝে নেড়েচেড়ে দিন, যাতে পাত্রের তলায় লেগে না যায়।
৭. যখন ঝোল শুকিয়ে যাবে এবং তেল উপরে ভেসে উঠবে, তখন বুঝবেন আচার তৈরি হয়ে গেছে।
৮. এবার চুলা থেকে নামিয়ে আচার সম্পূর্ণ ঠান্ডা হতে দিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে মুখবন্ধ কাঁচের পাত্রে সংরক্ষণ করুন সুস্বাদু রসুনের আচার।
এই আচার খিচুড়ি, ভাত কিংবা রুটির সঙ্গে পরিবেশন করলে স্বাদ আরও বেড়ে যাবে। সঠিকভাবে সংরক্ষণ করলে এই আচার অনেক দিন পর্যন্ত ভালো থাকে।