হার্ট অ্যাটাক কমাতে সাহায্য করবে যে ৫টি অভ্যাস, দেখেনিন একঝলকে

প্রতি বছর পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রাণ হারান হার্ট অ্যাটাকে। মানসিক চাপ থেকে অতিরিক্ত কর্মব্যস্ততা, অনিদ্রা কিংবা অন্যান্য আনুষঙ্গিক রোগ অনেক ক্ষেত্রেই বাড়িয়ে দিতে পারে হার্ট অ্যাটাকে ঝুঁকি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হৃদরোগের আশঙ্কা কমাতে চাইলে দৈনন্দিন অভ্যাসে আনতে হবে কিছু পরিবর্তন।

ঘুমের বিকল্প নেই: পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব হৃদরোগের অন্যতম বড় অনুঘটক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম অবশ্যই প্রয়োজন। একটানা যদি ঘুম নাও আসে, তবে কাজের ফাঁকে ফাঁকে ঘুমিয়ে নেওয়া দরকার।

শরীরচর্চা করুন: সংবহনতন্ত্র ভালো রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চার বিকল্প নেই। তাছাড়া ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা থেকেও কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়ে। তাই নিয়ম করে শরীরচর্চা করতেই হবে। সব সময়ে খুব ভারী শরীরচর্চা করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। হালকা ব্যায়াম, হাঁটাহাঁটি কিংবা যোগাসন করলেও চলবে।

যখন তখন ওষুধ খাওয়া নয়: ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অতিরিক্ত ট্রাইগ্লিসারাইড এবং বাড়তি ওজনের মতো সমস্যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু এই সমস্যাগুলোর জন্য অনেকেই নিজের ইচ্ছা মতো ওষুধ খেয়ে থাকেন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া বা ওষুধ বন্ধ করা দুটাই ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ। বিশেষ করে যারা রক্তচাপের ওষুধ খান, তাদের এ বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

অবহেলা করবেন না: হৃদযন্ত্রের নিয়মিত পরীক্ষায় অনেক ক্ষেত্রেই প্রতিরোধ করা যেতে পারে হার্ট অ্যাটাক। কিন্তু অনেকেই বুকে ব্যথা, ক্লান্তি বা শারীরিক অস্বস্তির মতো লক্ষণগুলোকে গ্যাসের সমস্যা বলে এড়িয়ে যান। এ ধরনের সমস্যা অবহেলা করা ঠিক নয়। বিশেষত পরিবারে যদি হৃদরোগের ইতিহাস থাকে, তাহলে অবশ্যই নিয়মিত হৃদযন্ত্র ও সংবহনতন্ত্রের পরীক্ষা দরকার।

খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনুন: অতিরিক্ত তেল ও মসলাযুক্ত খাবার প্রতিদিন না খাওয়াই ভালো। মাছ-মাংস যেমন খাচ্ছেন তেমনই সঙ্গে সপ্তাহে অন্তত কয়েক দিন বেশি পরিমাণে সবুজ শাকসবজি ও ফাইবারযুক্ত খাবারও খেতে হবে। শাকসবজিতে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম, তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। খাদ্যতালিকায় ওটস, ব্রাউন রাইস, বিনস, মুসুর ডাল, বাদাম, বীজ ও নানা ধরনের ফল রাখুন। সেই সঙ্গে বাদ দিবেন প্রক্রিয়াজাত খাবার।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy