সূর্যরশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে সানস্ক্রিন ব্যবহারের বিকল্প নেই। তবে কেবল সানস্ক্রিন ত্বকে লাগালেই যে উপকার মিলবে তা কিন্তু নয়। এর ভুল ব্যবহারে উপকার থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।
রূপ বিশেষজ্ঞদের মতে, সানস্ক্রিন বেশি লাগালেই যে ত্বক বেশি নিরাপদ থাকবে তা কিন্তু নয়। বরং রয়েছে এর নিয়মকানুন। তাই সানস্ক্রিনের পুরো উপকারিতা পাওয়ার জন্য মাথায় রাখুন কয়েকটা জরুরি বিষয়। বিষয়গুলো হলো-
>> ত্বকের যত্নের প্রাথমিক শর্ত পরিচ্ছন্নতা। সানস্ক্রিন লাগানোর আগে মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। তারপর নরম তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিন। মুখের ত্বক একটু যেন ভেজা ভেজা থাকে।
>> সরাসরি সানস্ক্রিন মাখবেন না। সানস্ক্রিন মাখার আগে অল্প করে ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। এতে ত্বকে আদ্রতা বজায় থাকবে।
>> বাইরে বের হওয়ার ২০ থেকে ৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের সঙ্গে মানিয়ে যাবে ভালো। না হলে সূর্যের আলোতে বের হওয়ার পর সানস্ক্রিন ব্যবহারে কোনো লাভ নেই।
>> অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থাকলে ওয়াটারপ্রুফ সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এমনকি যদি সাগরের জলে নামতে চান অথবা সুইমিংপুলে স্নান করতে চান, তাহলেও ওয়াটারপ্রুফ সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। অন্যথায় জল এবং ঘামের সঙ্গে সানস্ক্রিন উঠে যাবে।
>> বাড়ির বাইরে থাকলে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা পর পর সানস্ক্রিন মেখে নিতে হবে।
>> রোদ না থাকলেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। কারণ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রায় ৮০ ভাগই আটকাতে পারে না মেঘ। তাই মেঘাচ্ছন্ন, এমনকি বৃষ্টির দিনেও সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না।
>> শুধু মুখে নয় বরং পুরো শরীরের যেসব অংশ রোদের সংস্পর্শে আসতে পারে সেখানে সানস্ক্রিন লাগানো উচিত।
>> মুখের জন্য আলাদা সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এমন কোনো সানস্ক্রিন মুখে ব্যবহার করবেন না, যা শরীরের জন্য উপযোগী। কারণ মুখের ত্বক শরীরের ত্বকের চেয়ে অনেক বেশি স্পর্শকাতর হয়ে থাকে। তাই মুখের জন্য আলাদা সানস্ক্রিন এবং শরীরের জন্য আলাদা সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
>> যে সানস্ক্রিনে যত বেশি এসপিএফ থাকে, তাতে তত বেশি দীর্ঘ প্রটেকশন থাকে। আপনার গায়ের রং ফর্সা হলে অন্তত এসপিএফ৩০ যুক্ত সানস্ক্রিন কিনুন। শ্যামবর্ণ হলে এসপিএফ২০-তেই হয়ে যাবে।
>> সমুদ্রের ধারে সময় কাটানোর পরিকল্পনা থাকলে আপনার সানস্ক্রিনের এসপিএফ অন্তত ৩০ থেকে ৫০ হতে হবে।
>> ইউভি-এ এবং ইউভি-বি, দু’রকম সূর্যরশ্মিই ত্বকের পক্ষে ক্ষতিকর। তাই সানস্ক্রিন কেনার আগে সেটি ইউভি-বি রশ্মির পাশাপাশি কত ভালো ইউভি-এ রশ্মি থেকেও সুরক্ষা দিতে পারবে তা বিবেচনা করুন। কেনার আগে লেবেলে পিএ+, পিএ++, পিএ+++ এরকম কিছু লেখা আছে কিনা দেখে নিন। যতগুলো প্লাস চিহ্ন থাকবে, আপনার ত্বকও ততই ইউভি-এ থেকে সুরক্ষিত থাকবে।
>> তেলতেলে ত্বক হলে জেল-বেসড বা ওয়াটার-বেসড সানস্ক্রিন মাখুন। শুষ্ক ত্বক হলে বেছে নিন অয়েল-বেসড সানস্ক্রিন।
>> সানস্ক্রিন মাখার আগে প্যাচ টেস্ট করে নিন। তাতে আচমকা অ্যালার্জিতে ভুগতে হবে না।b