প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠার পর অজান্তেই আমরা এমন কিছু কাজ করি যা আমাদের সারা দিনের মেজাজ এবং কর্মদক্ষতাকে প্রভাবিত করে। এই বদ অভ্যাসগুলো আমাদের ধীরে ধীরে নেতিবাচক করে তোলে এবং আমাদের পরিবারের বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠে। শুধু তাই নয়, এর ফলে কাজের বারোটা বাজে এবং কোনো কিছুই ভালোভাবে এগোয় না। তাই দিনের শুরুটা সুন্দর ও উদ্যমী করতে সকালের এই ৫টি বদ অভ্যাস ত্যাগ করুন।
সকালে যে ৫ বদ অভ্যাস ত্যাগ করবেন:
১. সকালে উঠেই ফোনের স্ক্রিনে চোখ: ঘুম ভাঙতেই প্রথম কাজ যদি হয় ফোনের স্ক্রিনে চোখ রাখা, তবে এটি আপনার জন্য সবচেয়ে খারাপ অভ্যাস। এর ফলে চোখের ক্ষতি হয় এবং আপনার উৎপাদনশীলতা কমে যায়। এর পরিবর্তে, ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস হালকা গরম জল পান করুন, মুখ ধুয়ে নিন। বারান্দায় বা জানালার পাশে বসে তাজা বাতাসে শ্বাস নিন। নিজের জন্য অন্তত এক-দুই ঘণ্টা রাখুন, তারপর ফোন, সোশ্যাল মিডিয়া বা মেইল চেক করুন।
২. সকালের নাস্তা না খাওয়া: অনেকেরই সকালে খালি পেটে দীর্ঘক্ষণ থাকার পর কেবল চা বা কফি পান করার বদ অভ্যাস আছে। কিন্তু আপনার দিন শুরু করার জন্য একটি স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি ডিম, একটি টোস্ট, ওটমিল বা কিছু তাজা ফল দিয়ে আপনার সকালের নাস্তা সারুন। এটি আপনাকে সারা দিন সতেজ এবং কর্মঠ রাখবে।
৩. স্নান না করা: সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান করলে তা আপনাকে একটি সতেজ ও সুন্দর দিন শুরু করার অনুভূতি দেয়। এতে কাজে মনোযোগী হওয়াও সহজ হয়। স্নান আমাদের শরীরে ভালো হরমোন নিঃসরণ করে এবং উচ্চ কর্মক্ষমতার শক্তি দেয়। তাই দিনের শুরুতে স্নান না করার অভ্যাস থাকলে তা আজই বাদ দিন।
৪. দেরি করে ওঠা: সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে দিনের সবকিছুর পরিকল্পনা করে নিন এবং সেই অনুযায়ী কাজ করুন। এমনকি ছুটির দিন হলেও অলসতা করবেন না। কেনাকাটার কাজ থাকলে ছুটির দিনে সেরে নিতে পারেন। পরিকল্পনায় দেরি করলে তা কখনোই ফলপ্রসূ হয় না। বাইরে যাওয়ার আগে সময় থাকলে গাছপালায় জল দিন বা ঘর, ফ্রিজ পরিষ্কার করুন।
৫. নেতিবাচক চিন্তা: ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে জীবনের নেতিবাচক দিকগুলো নিয়ে চিন্তা করবেন না। প্রার্থনা করুন অথবা নিজেকে ইতিবাচক কিছু বলুন। আপনার জীবনের ভালো জিনিসগুলোর জন্য কৃতজ্ঞ থাকুন, নিজের ভাগ্যের ওপর আস্থা রাখুন এবং আশাবাদী হোন। নেতিবাচক চিন্তা দিয়ে দিন শুরু করলে তা আপনাকে কেবল হতাশই করবে।