যে কারণে নারীরাই বেশি থাইরয়েডে আক্রান্ত হন, জেনেনিন সঠিক কারণটি !

বিশ্বে এই মুহূর্তে ২০ কোটি মানুষ থাইরয়েডে ভুগছে। আক্রান্তদের বেশির ভাগেরই বয়স ২১ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। তাদের মধ্যে আবার নারীর সংখ্যাই বেশি।

আমাদের গলার সামনে নিচের দিকে থাইরয়েড গ্রন্থি আছে। দেখতে অনেকটা প্রজাপতির মতো। এ গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোন হজম বা হার্টসংক্রান্ত, স্মৃতি, পেশির দৃঢ়তা, হাড় মজবুত রাখাসহ অনেক দিক সামলায়। সাধারণত থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে হরমোন কম বা বেশি পরিমাণে নিঃসৃত হলে এ সমস্যা দেখা দেয়। তখন আক্রান্তের চুল ঝরে যায়। স্মৃতি কমতে থাকে। হার্টের সমস্যা দেখা দেয়। হাড় ক্ষয়ে যায়। চামড়া খসখসে হয়ে পড়ে। ঋতুকালীন সমস্যা দেখা দেয়। মানসিক অস্থিরতাও দেখা দেয়।

ক্লিনিক্যাল প্যাথলজিস্ট অবিনাশ ফড়ক বলেন, থাইরয়েডের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তি অনেক সময় রোগা হয়ে যান। আবার কারো কারো ওজন বেড়ে যায়। তিনি আরো বলেন, ‘পুরুষের তুলনায় নারীর শরীরের হরমোন বেশি সংবেদনশীল। তাই এই সমস্যায় বেশি ভোগে নারীরা। তাই নির্দিষ্ট সময় অন্তর টিএসএইচ বা থাইরয়েড টেস্ট করলে শুরুতেই ধরা পড়বে রোগ। নিয়মিত ওষুধ নিলে সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।’

চিকিৎসকরা বলছেন, থাইরয়েড নিয়ে অনেকেই সচেতন নয়। কিছু লক্ষণ দেখা দিলে সবারই থাইরয়েড পরীক্ষা করা প্রয়োজন। এর মধ্যে আছে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়া, শরীরের পেশি বা সন্ধিতে কোনো কারণ ছাড়াই ব্যথা, চেষ্টা সত্ত্বেও ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা প্রভৃতি। তা ছাড়া নারীদের ক্ষেত্রে অনিয়মিত মাসিক, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, বন্ধ্যাত্ব, গর্ভপাত হলে থাইরয়েড পরীক্ষা করা উচিত। এ রোগে আক্রান্তদের শুষ্ক হয়ে যাওয়াসহ ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দেয়।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy