বাল্য বিবাহ
অল্প বয়সে যাদের বিয়ে হয় তাদের পরকীয়ায় জড়ানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে। তারা অনুভব করে যে তারা এই বয়সে জীবন উপভোগ করেনি। ফলে উপভোগের চাওয়া-পাওয়ায় বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত হতে থাকে।
বাল্য বিবাহ অধিকাংশেই হয় পরিবারের চাপে। বাল্যকালে এ বিবাহের শিকাররা পরিবারে তাদের পছন্দ-অপছন্দ তুলে ধরতে পারেন না।পরবর্তী সময়ে তাদের মনে হয় এ বিয়েটি একটি ভুল ছিল। এরপর তারা তার জীবনসঙ্গীর চেয়ে ভালো কারও প্রতি সহজেই আকৃষ্ট হন, এরপর তা পরকীয়ায় গড়াতে দেরি করে না।
দাম্পত্য জীবনে অসন্তুষ্ট
দাম্পত্য জীবনে অসন্তুষ্টি থেকেও মানুষ পরকীয়ায় জড়ান। বৈবাহিক সম্পর্কে দুজনকেই একে অপরের প্রতি ভালোবাসা থাকতে হয়। এই ভালোবাসাটা হারিয়ে গেলে অন্য জায়গায় ভালোবাসা খুঁজে ফেরেন তারা।
পিতৃত্ব বা মাতৃত্বের ফলে স্বামী এবং স্ত্রীর গতিশীল সম্পর্কে পুরো পরিবর্তন ঘটতে থাকে। এ সময় সংসারে সন্তানই মূল কেন্দ্রবিন্দু হয়ে যায়। মাতৃত্বের একটি বড় গুণ যে, একজন মায়ের কাছে সবচেয়ে প্রাধান্য পায় তার সন্তান। তাই সন্তানকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে অবচেতন মনে স্বামীর প্রতি একটু বেখেয়াল হতেই পারে। এতে ওই স্বামী নিজেকে অবহেলিত ভেবে প্রাধান্য পেতে অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে যান।
শারীরিক চাহিদায় অসন্তোষ
পরকীয়ায় জড়িত হওয়ার অন্যতম কারণ শারীরিক চাহিদায় অসন্তোষ। বিবাহের পরে নারী বা পুরুষের মধ্যে কেউ একজন শারীরিক মিলনে অক্ষমতা বোধ করেন তবে বিপরীতজন এ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যেতে চেষ্টা করেন। শারীরিক মিলনে অক্ষমতায় একজন আরেকজনের প্রতি আকর্ষণ হারিয়ে ফেলেন। এর ফলে তারা অন্য কোনো সঙ্গীকে খুঁজে নেন।
ক্যারিয়ারে অগ্রগতি
সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক কারণ হলেও সত্য যে ক্যারিয়ারে অগ্রগতিও পরকীয়ার অন্যতম কারণ। কিছু লোক মনে করে কর্মক্ষেত্রে ফ্লার্ট করা এবং ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা তাদের ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং পেশাদার লক্ষ্য অর্জন করতে সহায়তা করে।তাই ক্যারিয়ারের উন্নতি করার জন্য অনেকেই বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত হন। যা পুরো পরিবারকে ধ্বংস করতে পারে।