মানুষ কেন মিথ্যা বলে? কারণ জানলে চমকে যাবেন

আমরা সবাই আমাদের জীবদ্দশায় কোনো না কোনোভাবে মিথ্যা বলি। নির্দোষ মিথ্যা গ্রহণযোগ্য হতে পারে, যদি কেউ পরিস্থিতির শিকার হয়ে বলতে বাধ্য হয়। কিন্তু অনেকে আছেন যারা অহরহ মিথ্যা বলে থাকেন, এমনকী তাদের মিথ্যা বলার প্রয়োজন না থাকলেও! এর কারণ আসলে কী? মানুষ কেন অপ্রয়োজনে মিথ্যা বলে তার ৫টি কারণ জেনে নিন-

সুবিধা লাভের জন্য

অনেকে মনে করেন, সত্য বলার মানে হলো নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেওয়া। তারা একটি সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করার জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে পারে। তারা তাদের পছন্দের প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিতে পারে। পরিস্থিতি অনুযায়ী সত্য কিছুটা অসুবিধাজনক হতে পারে, তাই তারা মিথ্যার আশ্রয় নেয়।

অন্যদের হতাশ করতে ভয় পাওয়া

কেউ যদি প্রায়ই মিথ্যা বলে তবে তার কারণ হতে পারে যে সে অন্যকে হতাশ করতে চায় না। কারও কারও অন্যের কাছ থেকে অনেক প্রত্যাশা থাকে এবং তারা আক্রমণাত্মকভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় যদি জিনিসগুলো তাদের পছন্দমতো না হয়। সুতরাং যে ব্যক্তি কোনো প্রকার তর্কে যেতে চায় না বা অন্যের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করতে চায় না, সে মিথ্যা কথা বলে।

মিথ্যা বলা তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ

প্রকৃতপক্ষে এটি হতে পারে মিথ্যা বলার প্রধান কারণ। যদি কেউ মিথ্যা বলে, তবে হতে পারে যে তার পক্ষে মিথ্যা বলা গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নাও হতে পারে, তবে তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তারা হতে পারে অতিরিক্ত চিন্তাশীল বা এমন লোক, যাদের নিজেদের ওপর অপ্রয়োজনীয় চাপ দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে।

প্যাথলজিক্যাল মিথ্যাবাদী

মিথ্যাবাদীদের ক্ষেত্রে এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিভাগ। এটি এক ধরনের রোগ যা তারা সহজে বুঝতেও পারে না। তারা তাদের মগের রঙের মতো ক্ষুদ্রতম জিনিস সম্পর্কে মিথ্যা বলতে পারে। তারা বোঝেও না যে ছোট ছোট জিনিসগুলো সম্পর্কে মিথ্যা বলার দরকার নেই।

তারা ওইসব মিথ্যা বিশ্বাস করে

যখন কেউ চাপের মধ্যে থাকে, তখন তার মানসিক অবস্থা নড়বড়ে হতে পারে। আমরা নিজেকে শান্ত করার জন্য আমাদের মাথায় অন্য জগতে পালানোর চেষ্টা করি এবং নিজেরাই সেই মেক-বিলিভ ছবিতে বিশ্বাস করতে শুরু করি। এটি আপনার কাছে মিথ্যা হতে পারে, তবে তাদের জন্য এটি মিথ্যা নয়। এটি আসলে সত্য কারণ তারা বিশ্বাস করে যে তারা এটি করেছে। মানসিক চাপ তাদের বর্তমান পরিস্থিতি ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খেলা করে। আপনি যদি তাদের মুখোমুখি হন তবে তারা প্রতিরক্ষামূলক হয়ে উঠবে, কারণ তাদের মস্তিষ্ক সেই চাপযুক্ত সত্যকে প্রত্যাখ্যান করছে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy