মন খুলে চিৎকার করুন! মানসিক শান্তির দাওয়াই এই ‘থেরাপি

কখনও ইচ্ছে করে সব বাঁধ ভেঙে চিৎকার করতে? তাহলে আর দেরি কেন, মন খুলে চিৎকার করুন! বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে কোনো ক্ষতি নেই, বরং উল্টো লাভই হবে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা মন ভালো রাখার জন্য নিয়ম করে ‘চিৎকার’ করার পরামর্শ দিচ্ছেন। এই বিশেষ থেরাপির নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্ক্রিম থেরাপি।’

স্ক্রিম থেরাপি আসলে কী?

স্ক্রিম থেরাপি কোনো কঠিন প্রক্রিয়া নয়। কেবল মনের আনন্দে চিৎকার করাই এর মূল মন্ত্র। এতে মনের জমে থাকা রাগ, দুঃখ, ক্ষোভ এবং না পাওয়ার যন্ত্রণা সহজেই বেরিয়ে যায়। ফলস্বরূপ, মন শান্ত হয় এবং মানসিক চাপ কমে। শুধু তাই নয়, চিৎকার করার আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও সহায়ক বলে মনে করা হয়।

ছোটবেলায় অনেক শিশুকে কাঁদানোর পরামর্শ দেন বাড়ির প্রবীণরা। তাদের বিশ্বাস, এতে শিশুদের হৃদযন্ত্রের শক্তি বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধারণায় খুব একটা ভুল নেই। আবেগপূর্ণ কান্না বা চিৎকার প্রকৃতপক্ষে শরীরের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

তবে সবসময় দুঃখ বা যন্ত্রণাতেই চিৎকার করতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা ভূতের সিনেমা দেখার পরামর্শ দিচ্ছেন! হ্যাঁ, ভূতের সিনেমা দেখার সময় অনেকেই ভয়ে কেঁপে ওঠেন বা চিৎকার করে ফেলেন। এর মাধ্যমে তাদের মনে জমে থাকা চাপা আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটে, যা শেষ পর্যন্ত মানসিক শান্তির দিকেই ধাবিত করে।

কেন প্রয়োজন এই স্ক্রিমিং থেরাপি?

আধুনিক জীবনের ইঁদুর দৌড়ে প্রতিনিয়ত সেরা হওয়ার প্রতিযোগিতা লেগেই থাকে। এই ব্যস্ততার মাঝে মানুষ ক্রমশ নিজের আবেগ প্রকাশ করতে ভুলে যায়। তবে এর অর্থ এই নয় যে তাদের মনে কোনো আবেগ নেই। বরং, ব্যস্ততার চাপে মনের গভীরে চাপা পড়ে থাকে এই অনুভূতিগুলো। এতে মনের বোঝা ক্রমশ বাড়তে থাকে এবং মানসিক ক্ষতির আশঙ্কাও বাড়ে। মনের এই বোঝা হালকা করার অন্যতম সহজ ও কার্যকর মাধ্যম হলো চিৎকার করা। এর মাধ্যমেই যাবতীয় চাপা আবেগ মুক্তি পায়।

তাই আর দ্বিধা নয়, যখন মন চায় প্রাণ খুলে চিৎকার করুন! তবে অবশ্যই শব্দদূষণের বিষয়টি মাথায় রাখবেন। আপনার আবেগের বহিঃপ্রকাশ যেন কোনোভাবেই অন্যের বিরক্তির কারণ না হয়ে দাঁড়ায়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। নিজের মানসিক শান্তির জন্য চিৎকার করুন, তবে অন্যের শান্তিও বজায় রাখুন!

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy