সবাই কম বেশি জীবাণুনাশক ডেটল, স্যাভলন, ব্লিচিং পাউডার ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকেন। তবে ব্লিচিং পাউডার (ক্যালসিয়াম ক্লোরো হাইপোক্লোরাইট) সবচেয়ে পরিচিত এবং সহজলভ্য জীবানুনাশক। যা বেশিরভাগ মানুষই ব্যবহার করে থাকেন।
অনেকেই মনে করেন ব্লিচিং পাউডারের সঙ্গে অন্য যে কোনো পরিষ্কারক (ডেটল,স্যাভলন) কিংবা জীবানুনাশক (স্যানিটাইজার) মিশিয়ে নিলে এর শক্তি বাড়বে। এতে হয়তো আরো বেশি জীবানু ধ্বংস হবে। এই মহামারিতে এই চিন্তা করাটা একদমই স্বাভাবিক।
ব্লিচিং পাউডারের সঙ্গে ডেটল বা স্যাভলন মেশালে হতে পারে মারাত্বক ক্ষতি। ব্লিচিং পাউডারের সঙ্গে যে কোনো পরিষ্কারক বা জীবানুনাশক মেশালে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিষাক্ত ক্লোরিন গ্যাস উৎপন্ন হয়। আর এই ক্লোরিন গ্যাস মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই আপনার চোখ, ন্যাজাল প্যাসাজ (নাক) এবং ফুসফুসকে মারত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
কেউ যদি মাত্র ৩০ সেকেন্ডও এই গ্যাস নিশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করে, তবে তার ফুসফুস স্বাভাবিক হতে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা সময় লাগবে। এই বিষাক্ত গ্যাস ভেতরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে ফুসফুস মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং অক্সিজেন নেয়া বন্ধ করে দেবে। এমনকি ভিনেগারও (সিরকা) ব্লিচিং পাউডারের সঙ্গে মেশানো যাবে না। চলুন জেনে নেয়া যাক এমন কয়েকটি বিক্রিয়া সম্পর্কে-
> ব্লিচিং পাউডার + সেনিটাইজার (Rubbing alcohol) = বিষাক্ত ক্লোরোফরম
> ব্লিচিং পাউডার + ভিনেগার = বিষাক্ত ক্লোরিন গ্যাস
> ব্লিচিং পাউডার + গ্লাস ক্লিনার (Ammonia) = ক্লোরো-অ্যামিন ( যার জন্য শ্বাসকষ্ট ও বুকব্যথা হতে পারে)
> হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড + ভিনেগার = পার-অক্সি-এসিটিক এসিড (ক্ষয়কারক)
> ব্লিচিং পাউডার + হারপিক = বিষাক্ত ক্লোরিন গ্যাস