ব্রণ খুবই বিরক্তিকর একটি সমস্যা। যা নির্দিষ্ট একটা বয়সের পর থেকে অনেকেরই মুখে হতে দেখা যায়। এই সমস্যা নারী-পুরুষ উভয়েরই হয়ে থাকে। ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হলেও, এর দাগ থেকে নিস্তার পাওয়া বেশ কঠিন। এক কথায়, ব্রণের চেয়েও বেশি অস্বস্তিদায়ক এর দাগ। এছাড়া এই দাগ থেকে যায় দীর্ঘদিন।
অনেকেই এই দাগ লুকাতে মেকআপের আশ্রয় নিয়ে থাকেন। কিন্তু এইটা কোনো সমাধান নয়। আসলে ব্রণের দাগ তোলার জন্য মেকআপের দরকার নেই। বরং ঘরোয়া যত্নেই দূর হতে পারে এই দাগ। চলুন জেনে নেয়া যাক তেমন তিনটি উপায়-
বাটার মিল্ক
বাটার মিল্কে থাকে প্রচুর ল্যাকটিক অ্যাসিড। তাই এটি ত্বকের মরা কোষ তোলে সহজেই। সেইসঙ্গে ত্বকের দাগও হালকা করে অনেকটাই। এটি বজায় রাখে ত্বকের পিএইচ লেভেলের ভারসাম্য। ত্বকে বাটার মিল্ক ব্যবহার করার জন্য তাতে কিছুটা তুলা ভিজিয়ে নিন। এরপর সেটি ত্বকে ভালো করে বুলিয়ে নিন। বিশ মিনিট অপেক্ষা করে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
টি ট্রি অয়েল
আমাদের ত্বকে যদি ব্রণের কারণে দাগ পড়ে তবে তা দূর করতে সাহায্য করতে পারে টি ট্রি অয়েল। এটি ভীষণ কার্যকরী। এই তেলে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান রয়েছে। এটি ত্বকের কোষ মেরামতেও সাহায্য করে। ফলে খুব দ্রুতই ব্রণের দাগ মিলিয়ে যায়। এটি শুধু ত্বকের দাগই দূর করে না, সেইসঙ্গে দূরে রাখে সব ধরনের ত্বকের সংক্রমণও।
ত্বকে টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করার জন্য প্রথমে এক চা চামচ নারকেল তেল নিন। এরপর তাতে মেশান কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল। মিশ্রণটি ব্যবহার করবেন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে। পুরো মুখে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে নিন। সকালে উঠে পরিষ্কার জলে মুখ ধুয়ে নিন। এভাবে যত্ন নিলে দ্রুতই উপকার পাবেন।
কমলার খোসা
শুধু কমলা নয়, কমলার খোসারও রয়েছে অনেক উপকারিতা। তার মধ্যে অন্যতম হলো ত্বকের দাগ-ছোপ দূর করা। কমলার খোসায় আছে প্রচুর স্কিন লাইটনিং উপাদান। এই উপাদান ত্বকের ভেতরে প্রবেশ করে দাগ দূর করে। নিয়মিত কমলার খোসা ব্যবহার করলে দাগ দূর হতে সময় লাগবে না। তাই কমলা খেলে তার খোসা ফেলে না দিয়ে শুকিয়ে গুঁড়া করে রাখুন।
ত্বকে কমলার খোসা ব্যবহার করার জন্য এক টেবিল চামচ গুঁড়া নিন। এরপর তাতে মেশান এক চা চামচ মধু। একটি পেস্টের মতো তৈরি করুন। ব্রণের দাগ যেসব স্থানে আসে, সেসব স্থানে এই পেস্ট ভালোভাবে লাগান। অপেক্ষা করুন শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত। এরপর পরিষ্কার জলে মুখ ধুয়ে নিন। সপ্তাহে তিনদিন এটি ব্যবহার করুন।