ফ্যাশনের সাথে স্বাস্থ্যও: পুরুষের দাড়ি রাখার ৭টি স্বাস্থ্যকর দিক

আজকাল ফ্যাশনের অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে পুরুষের দাড়ি। নানা স্টাইলে দাড়ি রাখা এখন ট্রেন্ড। তবে শুধু ফ্যাশন নয়, দাড়ি আপনার স্বাস্থ্যেরও বন্ধু হতে পারে, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। অবাক হচ্ছেন? চলুন, জেনে নেওয়া যাক দাড়ি রাখার স্বাস্থ্যকর দিকগুলো:

১. অ্যালার্জি থেকে মুক্তি: ধুলোবালি ও রোদে যাদের অ্যালার্জি রয়েছে, তাদের জন্য দাড়ি আশীর্বাদস্বরূপ। দাড়ি মুখের ত্বককে সরাসরি ক্ষতিকর উপাদানগুলোর সংস্পর্শে আসতে বাধা দেয়, ফলে অ্যালার্জির প্রকোপ কমে।

২. শেভিং র‍্যাশকে বিদায়: সংবেদনশীল ত্বকের অধিকারীরা প্রায়শই শেভিং-এর পর র‍্যাশের সমস্যায় ভোগেন। দাড়ি রাখার অভ্যাস এই বিরক্তিকর সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।

৩. ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস: ত্বক বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন, সরাসরি সূর্যের আলো এবং শেভিংয়ের সময় ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্য ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। দাড়ি এই ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

৪. ব্রণের উপদ্রব কমায়: পুরুষের ত্বকেও ব্রণ হতে পারে। শেভিংয়ের সরঞ্জাম ও পরিবেশের ধুলোবালি এই সমস্যা আরও বাড়িয়ে তোলে। দাড়ি পরিষ্করণ ও সঠিক যত্ন নিলে ব্রণের ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

৫. তারুণ্য ধরে রাখে: ডার্মাটোলজিস্ট ডঃ অ্যাডাম ফ্রাইডম্যানের মতে, দাড়ি মুখের ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে বাঁচায়। এর ফলে ত্বকের কোষ কম ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বলিরেখা দেরিতে পড়ে। তাই দাড়ি রাখলে ত্বকে বয়সের ছাপ সহজে পড়ে না।

৬. অ্যাজমার প্রকোপ লাঘব: গবেষণা অনুযায়ী, দাড়ি নাক ও মুখের মাধ্যমে ক্ষতিকর ধুলোবালি প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে। এর ফলে ডাস্ট মাইটের কারণে সৃষ্ট অ্যাজমার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে আসে।

সুতরাং, বুঝতেই পারছেন ফ্যাশনের পাশাপাশি আপনার স্বাস্থ্যকেও সুরক্ষিত রাখতে পারে একজোড়া পরিপাটি দাড়ি। তাই, যারা এখনও দাড়ি রাখার কথা ভাবছেন, স্বাস্থ্যগত দিকগুলো বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy