পেটে গ্যাস জমে থাকা খুবই কমন একটি সমস্যা। খাওয়া-দাওয়ায় একটু অনিয়ম হলেই এটি দেখা দিতে পারে। এমনকি একটু ভাজাভুজি খেলেও পেটে জমতে পারে গ্যাসের খনি। কিন্তু কতক্ষণ আর সতর্ক থাকা যায়! কোনো না কোনো ছুঁতোয় গ্যাস ঠিকই পেটে এসে জমে। জেনে নিন এমন অবস্থায় সমাধানের উপায়-
দই আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে করে দ্রুত খাবার হজম হয়, ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার ঝামেলা দূর হয়।
পেঁপেতে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম যা হজমশক্তি বাড়ায়। নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলেও গ্যাসের সমস্যা কমে।
কলা ও কমলা পাকস্থলির অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে। এতে করে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও কলার সলুবল ফাইবারের কারণে কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষমতা রাখে। সারাদিনে অন্তত দুটি কলা খান। পেট পরিষ্কার রাখতে কলার জুড়ি মেলা ভার।
পেট ঠান্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী খাদ্য হলো শসা। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমায়।
আদা সবচাইতে কার্যকরী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানসমৃদ্ধ খাবার। পেট ফাঁপা এবং পেটে গ্যাস হলে আদা কুচি করে লবণ দিয়ে কাঁচা খান, দেখবেন গ্যাসের সমস্যা সমাধান হবে।
পাকস্থলির গ্যাস্ট্রিক এসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় ঠান্ডা দুধ। এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করলে অ্যাসিডিটি দূরে থাকে।
হজমের জন্য খুবই ভালো। এক গ্লাস জলে আধ চামচ দারুচিনির গুঁড়া দিয়ে ফুটিয়ে দিনে ২ থেকে ৩ বার খেলে গ্যাস দূরে থাকবে।
২/৩টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চুষলে একদিকে বুক জ্বালা, বমিবমিভাব, গ্যাস দূর হয়। সঙ্গে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। লবঙ্গের মতো এলাচ গুঁড়া খেলে গ্যাস্ট্রিক দূরে থাকে।
এককাপ জলে ৫টা পুদিনা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে খান। পেট ফাঁপা, বমিভাব দূরে রাখতে এর বিকল্প নেই। আবার মৌরি ভিজিয়ে সেই জল খেলেও গ্যাস থাকে না।