নানা অস্থিরতা আর শারীরিক অসুবিধায় দ্রুত আরাম মেলে মাসাজের কারণে। ছোট্ট শিশুকে তেল মালিশ করে রোদে রাখার অভ্যাসও বেশ পুরনো। শুধু শিশু নয়, সব বয়সীর নানা ধরনের ব্যথা দূর করতে মাসাজের জুড়ি নেই।
মাসাজের কারণে যে শুধু সাময়িক আরাম মেলে তা কিন্তু নয়। বরং এটি অনেকরকম সমস্যা তাড়াতে বেশ কার্যকরী। জেনে নিন মাসাজের কয়েকটি গুণ সম্পর্কে-
দুশ্চিন্তা দূর করে: অফিস আর বাসা মিলিয়ে নানারকম চাপে থাকেন প্রায় প্রত্যেকেই। প্রতিদিনের কাজগুলো গুছিয়ে করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। তারপর একটা সময় মনে হয়, আর সম্ভব নয়! কারণ বিভিন্ন ঝামেলা নিয়ে অনেকরকম দুশ্চিন্তা মাথায় গিজগিজ করতে থাকে। এমনটা যদি আপনার সঙ্গেও ঘটে তবে সাহায্য নিন মাসাজের। আপনার সব ধরনের স্ট্রেস হরমোন আর টক্সিন তাড়াবে মাসাজ, ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই একদম ঝরঝরে আর নির্ভার অনুভব করবেন।
ব্যথা কমায়: আধুনিক জীবন যাপনে কমে এসেছে কায়িক শ্রমের কাজের সংখ্যা। এখন বেশিরভাগ মানুষই বসে থেকে কাজ করতে অভ্যস্ত। আবার দিনশেষে বাড়ি ফিরেও সোফায় বসে বা খাটে শুয়ে টিভি দেখা, একটু জিরিয়ে নেয়া। যার ফলে বসে থাকা হয় দিনের বেশিরভাগ সময়েই। এর ফলে পায়ে ও কোমরে বিভিন্ন সমস্যা ও ব্যথা দেখা দেয়। এ ধরনের সমস্যায় আপনাকে আরাম দিতে পারে মাসাজ। এক্ষেত্রে তেল মালিশ করলে বেশ উপকার পাবেন। এমন সমস্যায় মাসাজের মাধ্যমে কমানো সম্ভব আর্থারাইটিস, মাইগ্রেন, রিউম্যাটয়েড আর্থারাইটিসের ব্যথাও। তবে আগে থেকে মাসাজের নিয়মটা জানা থাকা চাই।
মাসলের উত্তেজনা কমায়: নিয়মিত ব্যায়াম করেন বা বিভিন্নরকম খেলাধুলা করেন, এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়। এক্ষেত্রে তাদের মাসল অনেক টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে যায়। এক্ষেত্রে তাদের ব্যথাবোধ থেকে মুক্তি দিতে পারে মাসাজ। সেই সঙ্গে তা ফ্লেক্সিবিলিটি বাড়াতেও দারুণ কার্যকর। তবে প্রশিক্ষিত কারও কাছ থেকে মাসাজ করালেই উপকার মিলবে।
মাথাব্যথা দূর করে: মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি থেকে মাথাব্যথা হওয়া খুব স্বাভাবিক একটি বিষয়। আর এই মাথাব্যথা একবার শুরু হলে তা দূর না হওয়া পর্যন্ত অস্বস্তি। এসব কারণে যাদের মাথা, কাঁধ, চোয়াল, ঘাড়ে ব্যথা হয়, তারা খুব উপকার পাবেন মাসাজ করালে। যেহেতু মাসাজ শরীরের সব টক্সিন বের করে দেয়, তাই ক্রমশ বাড়তে থাকে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। তাই সুস্থ থাকতে মাসাজকে সঙ্গী করে নিন।