নিয়মিত চিড়া খেলেই কমবে আপনার ওজন, পাশাপাশি ভালো থাকবে ব্রেইন : সমীক্ষা

ওজন কমাতে কতজনই না কত কিছু করেন! কেউ খাবার বাদ দেন তো কেউ আবার শারীরিক কসরত বাড়িয়ে দেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খাবার ৭০ শতাংশ ও শরীরচর্চা ৩০ শতাংশ কাজ করে। এ কারণে ওজন কমাতে হলে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার বিকল্প নেই।

বলিউড তারকাসহ অনেক স্বাস্থ্য সচেতনরাই ওজন কমাতে ভাতের বদলে বেছে নেন চিড়া। এ দলে আছেন- কারিনা কাপুর, শিল্পা শেঠি, আলিয়া ভাট, দিপীকা পাড়ুকোনসহ আরও অনেকেই।

এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মত হলো, সকালের খাবারে চিড়া খেলে শরীরে মেলে অনেক উপকার। এটি সহজেই হজম হয়ম ফলে শরীরের বিপাকীয় হার বাড়ে।

আবার কম ক্যালোরির পাশাপাশি এই খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন ও আয়রন থাকে। চিড়া চর্বিমুক্ত, গ্লুটেনমুক্ত ও শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করে।

পুষ্টিবিদরা সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে চিড়াকে তালিকাভুক্ত করেছেন। ১০০ গ্রাম চিঁড়ায় ১১০ কিলোক্যালরি থাকে।

এতে আরও আছে ২.৮৭ গ্রাম ফ্যাট, ০.৩৪৪ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ২১ গ্রাম সোডিয়াম, ১১৭ গ্রাম পটাসিয়াম, ০.৯ গ্রাম ফাইবার, ০.৫ গ্রাম শর্করা ও ২.৩ গ্রাম প্রোটিন।

এতে মোট কার্বোহাইড্রেট থাকে ১৮.৮ গ্রাম। তাই যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তাদের জন্য চিড়া হতে পারে অন্যতম এক খাবার।

চিড়া কীভাবে ওজন কমায়?

চিড়া সুস্বাদু ও কম ক্যালোরিযুক্ত হওয়ায় এটি ওজন কমানোর জন্য একটি আদর্শ খাবার। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে রাখে ও অ্যাসিডিটি এড়ায়। এতে থাকে স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট, যা শরীরে কোনো চর্বি সঞ্চয় করে না।

চিড়া খেলে আরও যেসব উপকার মেলে-

>> যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের জন্যও চিড়া হতে পারে সেরা বিকল্প। এতে থাকা ফাইবার ধীরে ধীরে রক্তে অবিচলিতভাবে চিনি ছেড়ে দেয়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যায় না।

>> চিড়ায় পর্যাপ্ত আয়রন থাকে। যা রক্তাল্পতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য একটি দুর্দান্ত খাবার। এটি শিশু, গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে চিঁড়া।

>> সহজে হজম হয় বলে চিড়া সকালের খাবার হিসেবে রাখতে পারেন। এটি পেটের ফোলাভাব প্রতিরোধ করে ও দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরা রাখে।

>> চিড়া মস্তিষ্ককে আরও তীক্ষ্ণ করে। এটি মস্তিষ্কের কোষ গঠন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন বি সমৃদ্ধ।

এতে থাকা সক্রিয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্ককে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে ও স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ করে।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy