চকলেট নামটি শুনলে ছোট-বড় সবাই খুশি হয়ে যায়! পুরো বিশ্বেই আছে চকলেটের কদর। অনেকেই বলে থাকেন, চকলেট খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। এমনকি চকলেট খেলে না-কি দাঁতে পোকা ধরে! এ ধারণা ভুল। কারণ ডার্ক চকলেটের আছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা।
এতে আছে শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফাইবার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, ফসফরাস, জিংক এবং সেলেনিয়াম। ডার্ক চকলেট গ্রহণের পরপরই শরীর থেকে টক্সিক উপাদান বের হয়ে যায়। ফলে দেহের ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। এ ছাড়াও ডার্ক চকলেট খেলে শরীরে যেসব উপকারিতা মিলবে জেনে নিন-
>> ডার্ক চকলেটে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী কর।
>> চকলেট তৈরির মূল উপাদান হলো কোকোয়া। যা ফ্লাভিনয়েডে ভরপুর। এই উপাদানটি ত্বককে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে।
>> চকলেটটি খাওয়ার পরপরই শরীরে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের যোগান হয়। এতে করে সারা শরীরে রক্তের প্রভাব বেড়ে যায়।
>> নিয়মিত ডার্ক চকলেট খেলে চুল মজবুত। হয় সেইসঙ্গে চুল পড়ার সমস্যাও কমতে শুরু করে।
>> চকলেটে থাকা ফ্লেবোনয়েড ব্রেন ফাংশনের উন্নতি ঘটায়। এর ফলে স্মৃতিশক্তি এবং মনযোগেরও বিকাশ ঘটে।
>> নিয়মিত ডার্ক চকলেট খাওয়া শুরু করে শরীরের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে দেহের ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যায়।
>> এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বিভিন্ন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। তেমনি জটিল রোগও ধারে কাছেও ঘেঁষতে দেয় না।
>> অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর একবার হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটলে, পুরো শরীরই সুস্থ থাকে।
>> ডার্ক চকলেটে দুই ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। একটি হলো ফ্লেবোনয়েড এবং অন্যটি, যা শরীরের গঠনে সাহায্য করে থাকে।
>> এতে থাকা ফ্লেবোনয়েড রক্তের প্রবাহ এত মাত্রায় বাড়িয়ে দেয়, যে রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কাও একেবারে কমে যায়। ফলে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমে।
>> গবেষণায় দেখা গেছে, টানা ৮ সপ্তাহ ডার্ক চকলেট খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা কমতে শুরু করে। সেইসঙ্গে রক্তচাপও স্বাভাবিক হয়ে যায়।
>> ডার্ক চকলেটের পলিফেনলস রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে উপকারি কোলেস্টেরল বা এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধিতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।
>> মানসিক সুস্থতাও মেলে চকলেট খেলে। এটি গ্রহণের পর নিমেষেই মন ভালো হয়ে যায়। চকলেটে থাকা পলিফেনল বিষণ্ণতা ও দুশ্চিন্তা দূর করতে সাহায্য করে।
সেইসঙ্গে চকলেট খেলে প্রাকৃতিকভাবেই আমাদের শরীরে সেরাটনিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এই সেরাটনিনই আমাদের মস্তিষ্কে ভালো অনুভূতি জাগায়।
চকলেটের ইতিহাস ২,৫০০ বছর পুরোনো। অ্যাজটেকরা প্রথম চকলেট আবিষ্কার করেন। ১৬ শতাব্দীতে ইউরোপে চিকলেটের কদর বহুগুণ বেড়ে যায়। ১৮৬৮ সালে প্রথম ক্যাডবেরি চকলেট ইংল্যান্ডের বাজারে আসে। প্রতি বছর জুলাইয়ের ৭ তারিখ বিশ্বজুড়ে পালিত হয়ে আসছে চকলেট দিবস।