চুলের বিভিন্ন সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। এর মধ্যে চুল পড়ার সমস্যা অন্যতম। আবার অনেকেই চুল লম্বা করতে চাইলেও তা পারেন না। বেশিরভাগ মানুষই চুলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে বাজারের নামিদামি প্রসাধনী ব্যবহার করেন। তবে কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনী চুলের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়।
তার চেয়ে বরং ঘরোয়া প্রতিকার বেছে নিতে পারেন। বিশেষ এক কৌশল রপ্ত করলেই সমাধান মিলবে। দিনে মাত্র ৫-১০ মিনিট এক হাতের আঙুলের সঙ্গে অন্য হাতের অঙুলগুলো ঘষলেই ফলাফল পাবেন হাতে নাতে।
এটি আসলে রিফ্লেক্সোলজি থেরাপি। যা বালায়াম যোগ নামেও পরিচিত। চুল পড়া, খুশকিসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে এই বিশেষ পদ্ধতি বেশ কার্যকর। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক আঙুলে আঙুল ঘষলে শরীরে কী ঘটে?
চাইনিজ আকুপ্রেসার অনুসারে, আঙুলের ডগায় থাকা স্নায়ুর প্রান্তগুলো মাথার ত্বকের সঙ্গে যুক্ত। আপনি যখন নখের সঙ্গে নখ ঘষেন তখন মাথার ত্বকের স্নায়ুকে প্রভাবিত করে। এটি ঘুরে, রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে ও চুল লম্বা করে।
চুল পড়া কমাতেও এই থেরাপি কাজ করে। অলটারনেটিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত নখ ঘষার অভ্যাস করলে ৩-৬ মাসের মধ্যেই চুল পড়ার সমস্যা কমে যাবে। এতে মাথার ত্বকে রক্ত প্রবাহ বেড়ে যায়। এর পাশাপাশি খুশকি ও অকালে চুল পাকার সমস্যাও কমে।
এমনকি আপনি যখন নিয়মিত নখে নখ ঘষবেন তখন মস্তিষ্ক উদ্দীপিত হয়ে মৃত ও ক্ষতিগ্রস্ত চুলের ফলিকলগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করতে সংকেত পাঠায়। ফলে ৬-৯ মাসের মধ্যে আপনার চুল পুনরায় গজাবে।
এই যোগব্যায়াম অনুশীলন যার জন্য কোনো বিশেষ সরঞ্জামের প্রয়োজন নেই। তবে ডায়াবেটিস, হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তি বা গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নয়। কারণ এটি রক্তচাপ বাড়াতে পারে।
চুলের বৃদ্ধির জন্য কীভাবে নখ ঘষবেন? এজন্য প্রথমে হাত অর্ধ-মুষ্টি করুন। অর্থাৎ হাত পুরোপুরি মুষ্টিবদ্ধ করবেন না। দুই বুড়ো আঙুল সোজা রাখুন।
এরপর দুহাতের নখগুলো একে অপরকে স্পর্শ করুন ও জোরে জোরে ঘষতে শুরু করুন। একটানা ৫-১০ মিনিট নখ ঘষুন। এভাবেই দিনে অন্তত ৫-১০ মিনিট এই যোগব্যায়াম করুন, দেখবেন চুল পড়ার সমস্যাও কমবে আবার চুল দ্রুত লম্বাও হবে।