তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যায় ভোগেন না এমন মানুষ কমই আছেন। সারাক্ষণ মুখের ওপর তেলের আস্তরণ আর ধুলোবালি জমে ব্রণ-ফুসকুড়ির হানা যেন নিত্যদিনের ঘটনা। অনেকেই বারবার মুখ ধুয়ে বা স্ক্রাব করে মুক্তি পেতে চান, কিন্তু ফলাফল হয় উল্টো। প্রকৃতপক্ষে, ভুল প্রসাধনী ব্যবহার করলে ত্বক আরও বেশি তেল নিঃসরণ শুরু করে।
তাই কৃত্রিম কেমিক্যাল ছেড়ে প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে ট্রাই করুন এই কার্যকরী ঘরোয়া কৌশলগুলো:
১. মধু: প্রাকৃতিক ক্লিনজার ও ময়েশ্চারাইজার ত্বকের তেল নিঃসরণ কমাতে মধুর জুড়ি নেই। এতে থাকা অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান ব্রণের সমস্যা দূর করে ত্বককে হাইড্রেট রাখে।
-
ব্যবহার: ২-৩ চা চামচ মধু মুখে মেখে ২০-৩০ মিনিট রাখুন, তারপর পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
২. ওটমিলের জাদু: ওটমিল কেবল স্বাস্থ্যের জন্য নয়, ত্বকের জন্যেও আশীর্বাদ। এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নেয় এবং সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
-
ব্যবহার: আধ চামচ ওটসের গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য জল মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
৩. টমেটো ও স্যালিসিলিক অ্যাসিড: টমেটোতে থাকা স্যালিসিলিক অ্যাসিড ত্বকের রোমকূপ বা পোরস পরিষ্কার করতে দারুণ সাহায্য করে। এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে ব্রণের ঝুঁকি কমায়।
-
ব্যবহার: তাজা টমেটোর টুকরো মুখে ঘষতে পারেন অথবা টমেটোর পাল্পের সঙ্গে সামান্য চিনি মিশিয়ে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
৪. আমন্ড ও মধুর এক্সফোলিয়েশন: বাদাম ত্বককে এক্সফোলিয়েট করার পাশাপাশি পুষ্টি জোগায়।
-
ব্যবহার: ৩ চা চামচ আমন্ড গুঁড়োর সঙ্গে ২ চামচ মধু মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। বৃত্তাকার গতিতে মুখে আলতো করে ম্যাসাজ করে ১০-১৫ মিনিট পর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
৫. লেবু ও গ্লিসারিনের কম্বিনেশন: লেবুর সাইট্রিক অ্যাসিড সেবাম উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে এবং গ্লিসারিন ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে।
-
ব্যবহার: ২ চা চামচ লেবুর রস, ২ চা চামচ জল এবং ১ চা চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে তুলোর সাহায্যে মুখে লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে ১-২ বার ব্যবহার করলে দ্রুত ফল পাবেন।
সম্পাদকের বিশেষ পরামর্শ: তৈলাক্ত ত্বকের জন্য দিনে দু’বারের বেশি ক্লিনজার বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন না। মুখ ধোয়ার জন্য হালকা গরম জল ব্যবহার করুন, যা ত্বকের পিএইচ (pH) ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।