প্রসবের আগে ও পরে নারীদের শরীরে অনেক পরিবর্তন আসে। এর প্রভাবে অনেক কিছু বদলে যেতে শুরু করে। তারই একটি হলো পিরিয়ড বা মাসিক সার্কেল।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ ডা. দীনা লায়লা হোসেন।
মাসিকের সময় অনেক মায়ের লাল রঙের ভেজাইনাল স্রাব হয়, যাকে অনেকে মাসিক মনে করে ভুল করেন। আসলে এটা রক্ত আর মিউকাস।
গর্ভাবস্থায় পুরো সময়টাই নারীদের মাসিক বন্ধ থাকে। প্রসবের পরও তা শুরু হতে কিছুটা সময় লাগে। এই সময় লাগাটা যে সবার ক্ষেত্রে একই হবে তা নয়।
কিছু কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করে প্রসবরে পর মাসিক শুরু হওয়াটা। একেক জনের একেক রকম হতে পারে।
সাধারণত ডেলিভারির কত দিনের মধ্যে মাসিক হবে এটা নির্ভর করে মায়ের উপরেই। মা কীভাবে বাচ্চাটাকে ব্রেস্টফিডিং করাচ্ছে, তার ওপর নির্ভর করবে।
যদি মা বাচ্চাকে এক্সক্লুসিভ ব্রেস্টফিটিং করায়। রাতে দুই বা তার বেশি বার খাওয়ায়, তাহলে ছয় থেকে আট মাস পর্যন্ত মাসিক নাও হতে পারে। তবে এই সময়ে পাশাপাশি কন্ট্রাসেপশন নিতে হবে। অনেক ক্ষেত্রেই সময়সীমা আরও বাড়তে পারে।
অনেকের ক্ষেত্রে দুই তিন মাস পরে হতে পারে মাসিক। সুতরাং এটা নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তার বিষয় নয়। তবে কন্ট্রাসেপশনটা ভালোভাবে নিতে হবে। বলে রাখি, এই সময়টা কারও কারও ক্ষেত্রে ১৮ মাস থেকে ২ বছরও হয়ে থাকে।
এক্ষেত্রে আমরা বলে থাকি, বাচ্চার বয়স ছয় মাস পার হলে পিল খাবেন। এটা শুরু করলে দেখবেন আপনার নিয়মিত মাসিক শুরু হয়েছে।