ডিম হচ্ছে সবচেয়ে ঝামেলামুক্ত খাবার। আমিষ খাবারের মধ্যে ডিম সেরা। কিন্তু ডিম সংরক্ষণের সঠিক উপায় কী? অনেকে বিশ্বাস করেন কখনই ফ্রিজে ডিম সংরক্ষণ করা উচিত নয়। কারণ এটি ডিমের স্বাদকে প্রভাবিত করতে পারে। আবার অনেকে বলেন যে, ডিমের শেলফ লাইফ বাড়ানোর সঠিক উপায় হলো সেগুলোকে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা।
ডিম সংরক্ষণ করার সঠিক উপায় কী?
বাজার থেকে নিয়ে আসার পরে অনেকে ডিম রান্নাঘরে রেখে দেন, আবার অনেকে ফ্রিজে তুলে রাখেন। পরিষ্কার জায়গায় রাখার পাশাপাশি তাপমাত্রা নিঃসন্দেহে ডিম সংরক্ষণে একটি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। কিন্তু ফ্রিজে ডিম রাখা কতটা নিরাপদ?
প্রশ্নটা ওঠার কারণ একটাই, ডিম যদি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা না যায়, তাহলে তা আমাদের স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কেনো না, মাছ বা মাংসের মতো ডিমও যদি সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করা হয় তবে তাতে বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে। ডিম থেকে শরীরে বিষক্রিয়া হওয়ার অন্যতম সাধারণ কারণ হলো সালমোনেলা নামে পরিচিত একটি ব্যাকটেরিয়া।
নিউজ এইটিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিডিসি’র (CDC) মতে, সালমোনেলা একটি ভয়ঙ্কর ব্যাকটেরিয়া যা খাদ্যজনিত অসুস্থতার কারণ হতে পারে। এটি মুরগির মতো বিভিন্ন প্রাণী ও পাখির পরিপাকতন্ত্রে উপস্থিত থাকে। এই কারণেই সিডিসি অনুসারে, ২৫টি মুরগির মধ্যে একটি সালমোনেলা দ্বারা দূষিত।
এক্ষেত্রে পেটের অসুখ, বমি বমি ভাব, এমনকি মৃত্যু ঘটাও অসম্ভব নয় বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই ডিম বিক্রি করার আগে পরিষ্কার করা হয়, জীবাণুমুক্ত করা হয়। এর মূল কারণ ব্যাকটেরিয়া অনেক সময়ে ডিমের খোসায় থেকে যায়, যা ডিমের খোসাকে পাতলা করে তোলে এবং সংক্রমণের প্রবণতা বাড়ায়। এই কারণেই ডিম পরিষ্কার করার ঠিক পরে ফার্মে এগুলো ফ্রিজে রাখা হয়।
তাহলে বাজার থেকে এনে বাড়িতেও কি ফ্রিজে ডিম রাখা উচিত?
ফার্মের রেফ্রিজারেটেড ডিম বাড়ি এনে বেশিক্ষণ ফ্রিজের বাইরে রাখলে ব্যাকটেরিয়া দূষণের সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়ার পর ডিমগুলো যদি ফ্রিজে রাখা না হয়, তাহলে সেগুলোকে ঘরের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যেতে পারে।