সকালে এক কাপ চা ছাড়া অনেকের চোখই খোলে না, আবার বিকেলের আড্ডা তো চা ছাড়া কল্পনাই করা যায় না। মাথা ধরা বা ক্লান্তি নিমেষেই দূর করতে এক কাপ চায়ের জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু জানেন কি, আমাদের অতি প্রিয় কিছু স্ন্যাকস যখন চায়ের সঙ্গে পেটে যায়, তখন তা শরীরের জন্য উপকারের বদলে অপকারই বেশি করে?
পুষ্টিবিদদের মতে, কিছু নির্দিষ্ট খাবারের সঙ্গে চা পান করা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকির কারণ হতে পারে। দেখে নিন সেই তালিকা:
১. বেসনের তৈরি ভাজাভুজি (যেমন পকোড়া): চায়ের সঙ্গে গরম গরম পকোড়া বা নোনতা খাবার খাওয়া অনেকের কাছেই ‘স্বর্গীয় সুখ’। কিন্তু এই কম্বিনেশনটি হজম প্রক্রিয়ার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। চা ও বেসন একসঙ্গে শরীরে গেলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি শোষণে বাধা দেয় এবং দীর্ঘমেয়াদী হজমের সমস্যা তৈরি করে।
২. আয়রন সমৃদ্ধ খাবার: চায়ে থাকা ট্যানিন এবং অক্সালেট শরীরকে আয়রন শোষণে বাধা দেয়। তাই চায়ের সাথে বাদাম, সবুজ শাকসবজি বা ডাল জাতীয় খাবার খাওয়া একদমই উচিত নয়। এতে রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
৩. লেবু চা নিয়ে সতর্কতা: ওজন কমাতে অনেকেই লেবু চা বা লিকার চায়ের ওপর ভরসা করেন। কিন্তু অতিরিক্ত লেবু চা পাতা বা লিকারের সঙ্গে মিশে অ্যাসিডিক হয়ে যায়। এর ফলে পেট ফাপা বা বুক জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৪. হলুদ যুক্ত খাবার: চায়ের সঙ্গে হলুদ মেশানো কোনো খাবার (যেমন ভাজাপোড়া বা নাস্তা) এড়িয়ে চলুন। চা এবং হলুদের রাসায়নিক উপাদান একে অপরের সঙ্গে বিক্রিয়া করে গ্যাস, অ্যাসিডিটি বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো পেটের গোলমাল পাকায়।
৫. গরম চায়ের সঙ্গে ঠান্ডা খাবার: গরম চায়ের চুমুকের ফাঁকে আইসক্রিম বা ঠান্ডা পানি খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই থাকে। তাপমাত্রার এই বিশাল পার্থক্য শরীরের হজম শক্তি দুর্বল করে দেয় এবং বমি বমি ভাব তৈরি করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চা পানের অন্তত ৩০ মিনিট পর ঠান্ডা কোনো কিছু খাওয়া উচিত।
সম্পাদকের টিপস: আপনি যদি সুস্থ থাকতে চান, তবে চায়ের সাথে হালকা বিস্কুট বা মুড়ি খেতে পারেন। তবে ভারী নাস্তা করার অন্তত এক ঘণ্টা পর চা পান করা স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে ভালো।