সকালে উঠেই আমরা ভাবি সকাল তো হলো, এখনি কাজে নেমে পড়া যাক, তবে এ কাজটি একেবারেই সঠিক নয়। চলুন জেনে নেয়া যাক সকালে উঠেই যে কাজগুলো করা ঠিক নয়।
১. সকালে উঠেই কফি নয়
আমাদের শরীরের কর্টিসল নামের এক ধরনের হরমোনের উৎপাদন হয় দেখেই আমরা ঘুম থেকে উঠতে পরি। কিন্তু কফি এই কর্টিসল উৎপাদনে বাধার সৃষ্টি করে। এর ফলে একটা সময় দেখা যায় ক্যাফেইলের প্রতি শরীর আরো বেশি আসক্ত হয়ে পড়ে এবং শরীর স্বাভাবিকভাবে কর্টিসল তৈরি করতে পারে না। তাই অন্তত সকাল দশটার আগে মোটেও কফি নয়।
২. অন্ধকারে সকালটা কাটাবেন না
আমাদের শরীর আলোর সঙ্গে তাল মিলিয়েই ঘোরে। আলোর উপর শরীরে মেলাটোনিন হরমোন নি:সরণ নির্ভর করে। এই হরমোনই শরীরকে বলে, কখন ঘুমানোর সময় এবং কখন জেগে উঠার। আলো বেশি থাকে বলেই কিন্তু গরম কালে জেগে উঠা সহজ হয়। সকালটা তাই উজ্জ্বল আলোতে কাটান। শরীরেরও পুরোপুরি জেগে উঠার কাজটা সহজ হবে।
৩. তন্দ্রাভাব
অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠে খানিকক্ষণ ঝিমান। কিন্তু এর ফলে আপনার মস্তিস্ক পুনরায় সেই ঘুমের সাইকেলে নিয়ে যায়। ফলে আপনার গভীর ঘুমের অনেকটাই প্রভাব চলে আসে শরীরে। আর এজন্য আপনি সারাদিন টালমাটাল বোধ করবেন। তাই অ্যালার্ম শোনার সঙ্গে সঙ্গে যত কষ্টই হোক ঘুম থেকে উঠে পড়ুন।
৪. অপ্রয়োজনীয় কোনো সিদ্ধান্ত নিবেন না
ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ প্রতিদিন একই ধরনের টি-শার্ট পরেন। তার মতে এতে করে দৈনন্দিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার তালিকা থেকে অন্তত একটা বিষয়তো কমলো। পোশাক নির্বাচনে যে বাড়তি সময়টা নষ্ট হয় সেই এনার্জিটুকু তিনি অন্য কাজে ব্যয় করতে বেশি আগ্রহী। তাই সকালের সময়টা বাঁচাতে অপ্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
৫. ই-মেইল চেকও নয়
সকালে উঠেই ই-মেইলে চোখ বুলানোর অর্থ হলো আমি কাল কি কি মিস করলাম সেই ফ্রেমে ফেলে দিনটাকে সাজানো। এভাবেই প্রযুক্তি আমাদের স্বাভাবিক জীবনকে বাধাগ্রস্থ করে বলে মন্তব্য গবেষকদের। এভাবে একটি নেতিবাচক ভয় দিয়ে দিন শুরু করা মোটেও কোনো ভালো কাজ নয়। তাই ইমেইল চেক না হয় একটু পরেই করবেন।
৬. সকাল বেলাটা বিছানায় কাটাবেন না
সকালটা বিছানায় গড়াগড়ি করতে পছন্দ করেন অনেকেই। ঘুম থেকে উঠলে একটু ব্যায়ামের অভ্যাস কিন্তু খারাপ না। এতে শরীরও খুব ভালো থাকে। পাশাপাশি, দ্রুত ফ্যাটও কমে।bs