একই জায়গায় বার বার ব্রণ, মোকাবিলা করবেন যেভাবে ,এড়িয়ে না গিয়ে পড়ুন

অনেকেরই মাসের পর মাস একই স্থানে ব্রণ হয়। যা কেবল ব্যথা নয় বিরক্তিকরও। তবে কেন একই স্থানে বারবার ব্রণ হয় সে কারণ সম্পর্কে অনেকেরই জানা নেই। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক-
হরমোনজনিত সিস্ট

ত্বকের নিচে সিস্টগুলো হচ্ছে বড় ধরনের ব্রণ। এগুলো ফুলে উঠে ও প্রদাহ সৃষ্টি করে। এই ব্রণগুলো সাধারণত মাথা বের করে না। এগুলো দেখা দিলে তা দূর হতে অনেক বেশি সময় নেয় আর যদি যায়ও ত্বকে দাগ রয়ে যায়। এটা মূলত হরমোনের কারণে হয়ে থাকে।

এগুলো সাধারণ ব্রণের চেয়ে গভীরে হওয়ায় এর চিকিৎসা করা বেশ কঠিন। এসব ব্রণ ফাটানো বা খোঁচানো উচিত নয়। কারণ এটা ত্বকের ভেতরের দিকে থাকে বলে এর সঠিক অবস্থা বোঝা যায় না। এছাড়াও এটা ত্বকের আশপাশের অঞ্চলকে সংক্রমিত করে।

লোমকূপ বন্ধ থাকলে

মুখের বিভিন্ন অংশ বিশেষ করে টি-জোন অংশের সিবাম উৎপাদনের কারণে তৈলাক্ত হয়ে যায়। সিবাম মৃত কোষের ও ময়লার সঙ্গে মিশে লোমকূপ বন্ধ করে দেয়। হোয়াইট হেডস ও ব্ল্যাক হেডস দেখা দেয়।

ত্বককে ব্রেক আউট থেকে সুরক্ষিত রাখতে নিয়মিত এক্সফলিয়েট করা প্রয়োজন। এতে ত্বক ও লোমকূপ পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে। অতিরিক্ত তৈলাক্তভাব কমাতে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ ফেইসওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে।

পিরিয়ডের কারণে

পিরিয়ডের সময় যদি নিয়মিতই গালের দুই পাশে ব্রণ হয়ে থাকে এবং তা দীর্ঘদিন ধরেই হয় তাহলে ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করার জন্য কোনো বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। বরফ ত্বকে ব্যবহার করার মাধ্যমে ত্বকের তেল নিঃসরণ কমানো যায়। নীল আলোর থেরাপিও জেদি ব্রণ দূর করতে সহায়তা করে।

মুখে বারবার হাত দেয়া

মুখে বার বার হাত দেয়া মানে হল ব্রণকে আমন্ত্রণ জানানো। হাতে নানা রকমের ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া ত্বকের সংস্পর্শে এসে ব্রণ ও দানার সৃষ্টি করতে পারে। হাতের সংস্পর্শে মুখের ওই স্থানের রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। ফলে প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও এর ফলে ত্বকে সিবামের নিঃসরণ বেড়ে যায় ফলে লোমকূপ আবদ্ধ হয়ে ব্রেক আউট সৃষ্টি করতে পারে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy