আপনার স্মার্টফোনই হতে পারে প্রাণঘাতী! অজান্তেই ডেকে আনছেন ভয়াবহ বিপদ

বর্তমান যুগে স্মার্টফোন ছাড়া আমাদের একদিনও চলে না। কিন্তু এই অতিপ্রয়োজনীয় যন্ত্রটিই আপনার শরীরের জন্য ‘সাইলেন্ট কিলার’ বা নীরব ঘাতক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস (AIIMS) এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (ICMR)-এর এক যৌথ গবেষণায় উঠে এসেছে শিউরে ওঠার মতো তথ্য।

গবেষকদের মতে, মোবাইল রেডিয়েশনের ফলে কেবল মস্তিষ্কের ক্যান্সার বা চোখের সমস্যা নয়, বরং মানুষ স্থায়ীভাবে শ্রবণশক্তি হারাতে পারে এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রজনন ক্ষমতা বা পৌরুষত্ব হারানোর মতো ভয়াবহ ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। এছাড়াও স্ট্রেস বৃদ্ধি, হার্টের সমস্যা এবং নিউরোডিজেনারেটিভ ডিসঅর্ডারের মতো জটিল রোগের উৎস এই স্মার্টফোন।

রেডিয়েশনের ছোবল থেকে বাঁচবেন কীভাবে?

বিশেষজ্ঞরা নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন:

  • হেডফোনের সঠিক ব্যবহার: টানা ৫০ মিনিটের বেশি ফোনে কথা বললে সরাসরি মস্তিষ্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই দীর্ঘ আলাপচারিতার জন্য সবসময় হেডফোন ব্যবহার করুন। তবে ব্লুটুথ হেডফোনের চেয়ে তারযুক্ত (Wired) হেডফোন ব্যবহার করা অনেক বেশি নিরাপদ।

  • পকেটে ফোন রাখার অভ্যাস ত্যাগ করুন: আমরা সাধারণত ব্যবহারের পর ফোন পকেটে রাখি। কিন্তু মনে রাখবেন, ফোন ব্যবহার না করলেও তা থেকে অনবরত রেডিয়েশন নির্গত হয়। তাই ফোন সবসময় ব্যাগে অথবা হাতে রাখার চেষ্টা করুন।

  • দুর্বল নেটওয়ার্কে সাবধান: যখন আপনার ফোনে নেটওয়ার্ক সিগন্যাল কম থাকে, তখন ফোনটি সংযোগ স্থাপনের জন্য সর্বোচ্চ শক্তিতে রেডিয়েশন ছড়াতে থাকে। তাই সিগন্যাল দুর্বল থাকলে কল করা বা ইন্টারনেট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

  • অ্যান্টি-রেডিয়েশন কেস: বাজারে এখন বিশেষ ধরনের সিন্থেটিক ও মাইক্রোফাইবার দিয়ে তৈরি অ্যান্টি-রেডিয়েশন কেস পাওয়া যায়। এগুলো ফোনের ক্ষতিকর রশ্মি প্রতিরোধে অনেকটাই সাহায্য করে।

প্রযুক্তির সুবিধা নিন, কিন্তু নিজের অজান্তেই স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেবেন না। সচেতনতাই পারে আপনাকে এই অদৃশ্য বিপদ থেকে রক্ষা করতে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy