কাছের মানুষটিকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করেন সবাই। কিন্তু একসময় দেখা যায় সবচাইতে কাছের ওই মানুষটিই বিশ্বাস ভাঙ্গে, কষ্ট দেয়। যদিও অনেকেই এমন আছেন যারা প্রিয় মানুষটিকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করেন না। চেষ্টা করেন তার সত্যটা বোঝার। কিন্তু প্রিয় মানুষটি মিথ্যা বলছে কিনা বোঝা মুশকিল।
তবে মানুষের শরীরের অঙ্গভঙ্গি লক্ষ্য করলে বোঝা যেতে পারে কথা বলার সময় তিনি সত্যি বলছেন না মিথ্যা! কোনো ব্যক্তির বাচনভঙ্গি, কথা বলার সময়ে কোন দিকে তাকাচ্ছেন কিংবা কথা বললে গলার স্বর বদলে যাচ্ছে কি না তা দেখেই নাকি বলে দেওয়া যেতে পারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সত্যি বলছেন না মিথ্যা।
হাত নাড়ানো
সাধারণত যখন কোনো মানুষ সত্যি কথা বলেন তখন কথা বলার আগে বা কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে হাতের অঙ্গভঙ্গি বদল হয়। কিন্তু মিথ্যে কথা বললে কথা বলার কিছুক্ষণ পর বদল হয় হাতের অঙ্গভঙ্গি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মিথ্যে কথা বলার অর্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কোনো কাল্পনিক ঘটনা নির্মাণ করতে হচ্ছে। তাই মস্তিষ্কের স্বাভাবিক অনুসারী ক্রিয়া কিছুটা ব্যহত হয়। সেই কারণেই দেরি হয় হাতের ভঙ্গিতে।
দৃষ্টি
অনেক সময় যারা মিথ্যা কথা বলেন তারা সরাসরি চোখের দিকে তাকাতে অস্বস্তি বোধ করেন। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা বলছে ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে মিথ্যে কথা বলার সময় সরাসরি চোখে চোখ রাখতে সঙ্কোচ বোধ করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি।
নড়াচড়া
কথা বলার সময় সামনে-পেছনে দোলা কিংবা এক দিকে ঘাড় কাত করে রাখা মিথ্যা কথা বলার সঙ্কেত হতে পারে। পাশাপাশি কোনো কোনো ব্যক্তি কোনো এক দিকের পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়ান, বার বার ভিন্ন পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়ানোও মিথ্যে কথা বলার লক্ষণ হতে পারে।
মুখভঙ্গি
কারো কারো মতে, ঠোঁট ভেতরের দিকে ঢুকিয়ে নেয়া কিংবা ঠোঁট চেপে রাখার মতো বিষয় মিথ্যে কথা বলার লক্ষণ হতে পারে। বার বার ঢোঁক গেলা ও জিভ মুখের ভিতরে ঢুকিয়ে নেয়াও মিথ্যা কথা বলার লক্ষণ হতে পারে।
গলার স্বর
কথা বলার সময়ে গলার স্বরের আকস্মিক পরিবর্তন মিথ্যে কথার ইঙ্গিত হতে পারে। অনেকের মতে, মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্বরযন্ত্র শক্ত হয়ে যেতে পারে। তাই মিথ্যে কথা বলার সময়ে যদি কারো মানসিক চাপ তৈরি হয়। তবে কথা বলতে গেলে গলার স্বর মোটা কিংবা সরু হয়ে যেতে পারে।
তবে এই সবই তত্ত্বগত কথা। বাস্তবে এই ধরনের লক্ষণ দেখে কোনও ব্যক্তি সত্যি বলছেন না মিথ্যা, তা নিশ্চিত ভাবে বলা খুবই কঠিন।