আপনার অর্শ্ব নাকি কোলন ক্যানসার কোনটি হয়েছে যেভাবে বুঝবেন দেখেনিন

অর্শ্ব ও কোলনের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। ফাইবারযুক্ত খাবারের অভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য, স্থূলতা, গর্ভাবস্থায়, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে অথবা বসে থাকার অভ্যাস ইত্যাদি কারণে এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধে, বাড়তে থাকে।

পাইলস রোগটিই অর্শ্ব বা অরিশ হিসেবে পরিচিত। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয় হেমোরয়েডস। এ রোগে মলদ্বার থেকে মাঝে মধ্যে রক্ত যায়। কখনো বেশি আবার কখনো কম। সাধারণত ওষুধ বা অস্ত্রপচারের মাধ্যমে পাইলসের চিকিৎসা হয়ে থাকে।

মলদ্বারে প্রদাহ, মলত্যাগের সময় তীব্র যন্ত্রণা কিংবা রক্তপাতের মতো সমস্যা অর্শ্ব ক্যানসারের কারণ হতে পারে। ঠিক একইভাবে এসব লক্ষণ কোলন ক্যানসার হলেও দেখা দেয়।

অর্শ্ব ও কোলন ক্যানসারের বেশ কিছু উপসর্গ মিলে যায়। ফলে অনেকেই বুঝতে পারেন না তিনি অর্শ্ব নাকি কোলন ক্যানসারে ভুগছেন। তবে কিছু কিছু উপসর্গে ভিন্নতা আছে। যেমন-

>> মলত্যাগে অনিয়ম, হঠাৎ বমি বমি ভাব, ওজন কমে যাওয়া, ফিতার মতো মল নির্গত হওয়া ইত্যাদি উপসর্গ কোলন ক্যানসারের ক্ষেত্রে দেখা যায়। তবে এসব অর্শ্ব রোগীদের ক্ষেত্রে দেখা যায় না।

>> আবার মলদ্বারের রক্তপাতের মধ্যেও আছে তারতম্য। অর্শ্ব রোগীদের ক্ষেত্রে যে রক্তপাত হয় তা সাধারণত লাল। অন্যদিকে কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে এই রক্ত কালচে রঙের হয়। যা দেহের অভ্যন্তর থেকে নির্গত রক্তের সূচক।

>> পেট ব্যথাও কোলন ক্যানসারের অন্যতম একটি উপসর্গ। যা সাধারণত অর্শ্বের ক্ষেত্রে দেখা যায় না। কোলন ক্যানসারে যেহেতু অন্ত্র থেকে রক্তপাত হয় তাই, এটি রক্তাল্পতা তৈরি করে।

রক্তাল্পতার কারণে শরীরে দেখা দেয় ক্লান্তি। অর্শ্ব রোগীদের ক্ষেত্রে এই উপসর্গও খুব বেশি দেখা যায় না।

তবে এসব সমস্যা দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সাধারণ মানুষের পক্ষে কোনটি কী তা বুঝে ওঠায় অত্যন্ত কঠিন।

আর ক্যানসার শরীরে বাসা বাঁধলে তা প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা না হলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে পুরো শরীরে। যা মৃত্যুঝুঁকির কারণও হতে পারে।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy