অনেকেরই বাড়ে অ্যালার্জির সমস্যা। কারও কারও ক্ষেত্রে রাত বাড়লে পাল্লা দিয়ে বাড়ে অ্যালার্জির উপসর্গও। সমস্যা সমাধানে রইল কিছু ঘরোয়া টোটকা-
১. বায়ুতে আর্দ্রতা ও ধুলাবালির পরিমাণের তারতম্য অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। এই সমস্যা সমাধানে ঘরে বায়ু পরিশুদ্ধ করার যন্ত্র বসাতে পারেন। আজকাল সাধারণ বৈদ্যুতিক সামগ্রীর দোকানেই এই ধরনের যন্ত্র কিনতে পাওয়া যায়।
২. চেষ্টা করুন একটু উঁচু বালিশ ব্যবহার করতে। শরীরের উপরের দিক একটু উঁচুতে থাকলে শ্বাসনালিতে শ্লেষ্মার সঞ্চয় কিছুটা কম হয়। ফলে অ্যালার্জির দরুন সৃষ্টি হওয়া শ্বাসকষ্ট কমে। ঘুম ভালো হয়। খেয়াল রাখবেন বালিশের তুলার মান যেন ভালো হয়।
৩. পোষ্য থাকলে ঘরের বাইরে রাখুন। অন্তত শুতে যাওয়ার সময় পোষ্যের থেকে দূরে থাকাই ভালো। পোষ্যের শরীরের লোম অনেক সময়েই অ্যালার্জি বাড়িয়ে দেয়।
৪. নিয়মিত পরিষ্কার করুন ঘর। ধুলা খালি চোখে দেখা না গেলেও অ্যালার্জির রোগীদের জন্য এটি ভয়ংকর বিপদ। এমনকি, সিলিং ফ্যানে জমে থাকা ময়লা, খাটের কোণে জমে থাকা ধুলাও বাড়িয়ে তোলে অ্যালার্জি, সমস্যা হয় ঘুমের।
৫. চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যালার্জির ওষুধ খাবেনও না বন্ধও করবেন না। অ্যালার্জির ওষুধে মূলত অ্যান্টিহিস্টামিন নামক উপাদান থাকে, এর অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার কোষ্ঠকাঠিন্য, অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন, গলা শুকিয়ে যাওয়া বা মূত্র ত্যাগের সমস্যার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ডেকে আনে।