বাচ্চা থেকে বুড়ো চকলেট পছন্দ করে না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না! চকলেট বার থেকে শুরু করে চকলেট কেক, চকলেট মিল্ক শেক, চকলেট ব্রাউনি, চকলেট পেস্ট্রি- নাম শুনলেই সকলের জিভে জল চলে আসে। চকলেট শুধু রসনার তৃপ্তি আনে তাই না, ডার্ক চকলেটের আছে নানা উপকারিতা।
চকলেট তৈরির মূল উপাদান কোকোয়া বিনে আছে প্রচুর পরিমাণ এন্টি অক্সিডেন্ট। এন্টি অক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের জন্য দারুণ উপকারি।
সাধারণত চকলেটের তিতকুটে স্বাদ দূর করতে এতে চর্বি ও চিনি যোগ করা হয়। কিন্তু এতে চকলেটের গুণাবলী অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। তাই চকলেট থেকে উপকার পেতে যেসব চকলেটে কোকোয়ার পরিমাণ অন্তত ৭০ শতাংশ বা তার উপরে সেসব চকলেট খেতে হবে।
আসুন দেখে নেই কোন ছয়টি উপকার পেতে প্রতিদিন চকলেট খাবেন
১. ডার্ক চকলেটে থাকে ভক্ষণযোগ্য ফাইবার এবং অতি জরুরি কিছু মিনারেল। আরো আছে ওলেইক এসিড, স্টিয়ারিক এসিড আর পালমিটিক এসিডি।
২. অর্গানিক উপাদানও মেলে এই খাবার থেকে। এসব উপাদান দেহে নানা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। ডার্ক চকলেট উচ্চ রক্তচাপ সামাল দেয়। দেহে রক্তপ্রবাহ সুষ্ঠু করে তোলে। এটা পুরুষের দেহে ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে আনে।
৩. ডার্ক চকলেটে আছে ৬৫ শতাংশ পলিফেনোল-সমৃদ্ধ কোকোয়া। এটি উচ্চ রক্তচাপ অনায়াসে কমিয়ে আনতে পারে।
৪. এতে আছে ফ্লাভানলস। রক্তচাপ কমিয়ে এনে হৃদযন্ত্রের দেখাশোনা করে এটি। হৃদযন্ত্র থেকে মস্তিষ্কে সুষ্ঠু রক্তপ্রবাহ নিশ্চিত করে ফ্লাভানলস। ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায় ডার্ক চকলেট।
৫. ইনসুলিনের কার্যকারিতা ঠিকঠাক বজায় রাখতে ডার্ক চকলেট অতুলনীয়। ইনসুলিনের সমস্যার জন্য ডায়াবেটিস, কার্ডিওভাসকুলার রোগ এবং হৃদযন্ত্রের অন্যান্য সমস্যা হয়ে থাকে।
৬. ডার্ক চকলেটে আরো আছে থিওব্রোমাইন নামের এক বিশেষ অ্যালকালয়েডের উচ্চমাত্রার মিশ্রণ। এটা দেহকে আরাম পেতে সহায়তা করে। রক্তবাহী নালীরও দেখভাল করে এটি।