ঘি কেবল রান্নার স্বাদ বাড়াতে নয়, বরং প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চার এক অনন্য উপাদান হিসেবে সমাদৃত। ভিটামিন এবং উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ ঘি শুষ্ক ও প্রাণহীন ত্বকে ফিরিয়ে আনতে পারে হারানো জেল্লা। অনেকের ধারণা ঘি মাখলে ত্বক চটচটে হয় বা ব্রণ বাড়ে, কিন্তু সঠিক পদ্ধতিতে ঘি ব্যবহার করলে এটি যেকোনো দামি ময়েশ্চারাইজারকে হার মানাতে পারে। বিশেষ করে রুক্ষ ত্বকের অধিকারীদের জন্য ঘি এক আশীর্বাদ।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কাঁচা দুধ, বেসন এবং ঘি মিশিয়ে ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। এছাড়া অকাল বার্ধক্য বা বলিরেখা রোধ করতে ঘি-এর মাসাজ জাদুর মতো কাজ করে। যাঁদের চোখের নিচে ডার্ক সার্কল রয়েছে, তাঁরা রাতে ঘুমানোর আগে সামান্য ঘি আলতো করে মাসাজ করলে দ্রুত ফল পাবেন। এমনকি ফাটা ঠোঁটের চিকিৎসায় ঘি ও চিনির স্ক্রাব অত্যন্ত কার্যকর। তবে মনে রাখবেন, তৈলাক্ত ত্বকে ঘি সরাসরি ব্যবহার না করাই ভালো। সঠিক নিয়মে ঘি-এর ব্যবহার আপনার ত্বককে করে তুলবে মাখনের মতো নরম ও উজ্জ্বল।