মলত্যাগের সময় যেসব লক্ষণ হতে পারে ক্যান্সারের প্রধান কারণ, জেনেনিন আর সতর্ক থাকুন

অন্ত্র হল একটি ফাঁপা পেশীর নল যা পাকস্থলী থেকে মলদ্বারে যায়। এটি খাদ্য ভাঙ্গার জন্য এবং অপাচ্য বর্জ্যকে মলদ্বারের দিকে সরানোর জন্য অত্যাবশ্যক। অন্ত্রের ক্যান্সার মূলত বৃহৎ অন্ত্রে শুরু হওয়া ক্যান্সারকে বোঝায়। এর উত্স কোথায় তার ওপর নির্ভর করে একে কোলন ক্যান্সার বা মলদ্বারের ক্যান্সার বলা যেতে পারে। মলত্যাগের সময় এর লক্ষণ দেখা যেতে পারে। অনেকগুলো লক্ষণ রয়েছে যা কোলন বা মলদ্বার ক্যান্সারের উপস্থিতি নির্দেশ করে। এটি নিয়ে বিব্রত বা লজ্জিত বোধ করার পরিবর্তে লক্ষণগুলো সম্পর্কে খোলামেলা কথা বলা উচিত। এতে সঠিক রোগ নির্ণয় করা যায় এবং প্রয়োজনীয় চিকিত্সা অনুসরণ করা যায়।

এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে অন্ত্রের ক্যান্সার নিরাময়যোগ্য, বিশেষ করে যদি প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা যায়। এটি সম্পূর্ণরূপে নিরাময়ের সম্ভাবনা থাকে, যদিও এটি বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে এবং একটি পূর্ণ রোগে পরিণত হয়। প্রাথমিক শনাক্তকরণ এবং চিকিত্সা সত্যিই জীবন বাঁচায়। জেনে নিন অন্ত্রের ক্যান্সারের লক্ষণগুলো-

সতর্কতা চিহ্ন

কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায়ের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া, সরু ফিতার মতো মল, মলদ্বার থেকে রক্তপাত যা গাঢ় বা উজ্জ্বল লাল রঙের হতে পারে এবং একটি অস্বস্তিকর অনুভূতি যাতে মনে হতে পারে অন্ত্রটি খালি করতে হবে কিন্তু আসলে কিছুই বের হয় না। এই সমস্যার অন্যান্য লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে রক্তস্বল্পতা, অবিরাম পেটে ব্যথা এবং কারণ ছাড়াই ওজন কমে যাওয়া। যদিও এই উপসর্গগুলো আলসার, হেমোরয়েড বা ক্রোনস ডিজিজের মতো অন্যান্য ছোটখাট সমস্যার ফল হতে পারে, তবে এ ধরনের লক্ষণ দেখলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

লক্ষণ

অন্ত্রের ক্যান্সারের উপসর্গের মধ্যে রয়েছে মলের সঙ্গে রক্ত, নিয়মিত মলত্যাগের সময় পরিবর্তন, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি। লক্ষণগুলো পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের মধ্যেও লক্ষ্য করা যায়। আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে এই লক্ষণগুলো সম্পর্কে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ।

ঝুঁকির কারণ

যদিও এমন কোনো একক কারণ নেই যা অন্ত্রের ক্যান্সারের জন্য পিন-পয়েন্ট করা যেতে পারে, তবে এমন একাধিক কারণ রয়েছে যা মারাত্মক রোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। নিয়মিত ধূমপায়ীদেরও এই সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। যাদের আগে থেকে বিদ্যমান অবস্থা যেমন বিস্তৃত আলসারেটিভ কোলাইটিস বা কোলনে দীর্ঘ সময় ধরে ক্রোনস ডিজিজ রয়েছে, প্রায় দশ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে, তাদেরও অন্ত্রের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি বলে দেখা গেছে। যাদের অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলকায় তাদের ক্ষেত্রেও ঝুঁকি বেশি। অতিরিক্ত লাল মাংস খেলেও থাকে ঝুঁকি।bs

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy