দিনের শুরুটা খুশি মনে হওয়া উচিত কিন্তু এদেশে প্রায় ১ কোটিরও বেশি মানুষের কাছে প্রাতঃকর্মটি অত্যন্ত বিভীষিকার মত। প্রত্যেকে অর্শের সমস্যায় কষ্ট পান। তারা ভালো চিকিৎসা করার সুযোগ না পেয়ে হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে যান, উল্টে তা আরও ক্ষতি হয়। সঠিক খাদ্যাভ্যাসের অভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য বা কনস্টিপেশন হয়। তারপরেই এই সমস্যায় জর্জরিত হয় অনেকেই।
অনেক সময় দেখা গেছে পরিবারের বড়রা বাচ্চাদের প্রাতঃকর্ম জন্য জোর করে অভ্যাস করেন কিন্তু এটা একেবারেই ঠিক না। শরীর নিয়ম মতোই কাজ করবে এবং বেশিক্ষণ শৌচাগারে থেকে মলত্যাগের জোরপূর্বক চেষ্টা করলে এই রোগের আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই এই অভ্যাসটা শীঘ্রই বন্ধ করুন।
∆ কি কি করা উচিত নয়:
১) ভুল খাদ্যভ্যাসই হলো এই সমস্যার মূল। এমন অনেকেই আছেন যারা শাকসবজি প্রায় খান না বললেই চলে। আবার অনেকের জলের প্রতিও অনীহা দেখা যায় – কিন্তু এগুলি করা একদমই উচিত নয়।
২) শৌচাগারে গিয়ে দীর্ঘক্ষন বসে থাকা বা বেশি চাপ দেওয়া উচিত নয়। এতে আপনার সমস্যা আরো বেড়ে যাবে।
৩) বেশি ভারী জিনিস এই রোগীদের ক্ষেত্রে তোলা উচিত নয়।
∆ কি কি করা উচিত
১) প্রতিদিন মিনিমাম ৩-৩.৫ লিটার জল পান করা উচিত।
২) প্রতিদিনের ডায়েট চার্টে পাঁচ রকমের শাক সবজি রাখতে হবে। এছাড়া সব রকমের শাক-সবজিও খেতে হবে। কনস্টিপেশন কমানোর জন্য ঢ্যাঁড়সের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। তাই যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যায় ভুগছেন তাদের নিয়ম করে ঢ্যাঁড়স খাওয়া উচিত।
৩) পালংশাক, নটে শাক, লাউ, পটল, কুমড়ো সহ সময়ের সব শাকসবজি খেতে হবে। যেসব ফলে ফাইবার আছে যেমন কলা, পেয়ারা, লেবু, আম, জাম ইত্যাদি এছাড়া এগুলি শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী।
৪) বেশি মশলাজাতীয় খাবারকে ভুলে যান, ফাস্টফুড জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
৫) প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যায়াম করে শরীরের ওজন ঠিক রাখতে হবে। নয়তো শরীরের বাড়তি ওজন কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে তোলা।
৬) ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে তা ছাড়তে হবে। নাহলে এগুলি সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে তুলবে।
৭) কেক, বিস্কুট জাতীয় খাবারও একটু কম খাওয়া উচিত। এর পরিবর্তে খই, ওটস খাওয়া যেতে পারে।
৮) কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দেখা দিলে তা দ্রুত সারাবার চেষ্টা করতে হবে। তার জন্য শুরুতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।