ইমিউনিটি বৃদ্ধিতে প্রতিদিন রাতে দরকার গোল্ডেন মিল্ক! রইল তার রেসিপি

হলুদ সাধারণত রান্নার কাজেই ব্যবহার হয়। খুব কম মানুষ এটা জানেন যে, হলুদের সাথে মধু মিশিয়ে অনেক কার্যকরী এন্টিবায়োটিক তৈরি করা যায়। হলুদ ও মধুর এই মিশ্রণকে ‘গোল্ডেন মিক্সচার’ বা ‘গোল্ডেন মিল্ক’ বলা হয়। এর রঙ মূল্যবান রত্নের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় এবং এর অফুরন্ত স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্যই একে ‘গোল্ডেন’ নাম দেয়া হয়েছে। হলুদ এবং মধুতে প্রদাহ রোধী ও ক্যান্সার রোধী উপাদান আছে এবং এরা অনেক ধরণের রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারে এবং এই মিশ্রণটি বিভিন্ন অঙ্গের প্রাকৃতিক প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে। হলুদে কারকিউমিন থাকে যা ১৫০টা রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে। আজ আমরা এই এন্টিবায়োটিক তৈরি ও এর কার্যকারিতা সম্পর্কে জানবো।

প্রয়োজনীয় উপকরণ – · ১ চা চামচ লেবুর খোসা চূর্ণ। · ১ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ো। · ১০০ গ্রাম মধু। · ২ চা চামচ আপেল সাইডার ভিনেগার। · ১ চিমটি গোল মরিচ গুঁড়ো

প্রস্তুত প্রণালী – একটি পাত্রে হলুদ, আপেল সাইডার ভিনেগার ও গোল মরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এর সাথে লেবুর খোসার চূর্ণ ও মধু মিশান। মিশ্রণটি ভালোভাবে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ পর্যন্ত না একটি অভিন্ন মিশ্রণ তৈরি হয়। মিশ্রণটি একটি কাঁচের জারে নিয়ে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন।

গ্রহণের মাত্রা – ভালো ফল পাওয়ার জন্য প্রতিদিন সকালে ১ টেবিল চামচ গোল্ডেন মিল্ক মুখে নিন এবং এটাকে গলে যেতে দিন, তারপর গিলে ফেলুন। কয়েক মিনিট পরে জল বা অন্য কোন তরল গ্রহণ করতে পারেন।

ঠান্ডা ও ফ্লু ভালো করে হলুদ মিশ্রণ। যাদের হিমোফিলিয়া ও হাইপারটেনশন আছে তারা এটা গ্রহণ করতে পারেন। কারণ হলুদ রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।

এক গবেষণায় পাওয়া গেছে যে, গ্যাস্ট্রোডিউডেনাল আলসার এর বিরুদ্ধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে হলুদের কারকিউমিন। এছাড়াও কারকিউমিন ইনফেকশনের ফলে সৃষ্ট পাকস্থলীর ক্ষতি সাড়াতে পারে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy