দেড় লক্ষ বছরের বিবর্তনে ভাষা মানুষকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছে। বর্তমানে বিশ্বে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার ভাষা থাকলেও, কথা বলার ‘শিষ্টাচার’ বা ‘আর্ট অফ স্পিকিং’ সব দেশেই সমান গুরুত্বপূর্ণ। আপনি কীভাবে কথা বলছেন, তার ওপর নির্ভর করে আপনার ব্যক্তিত্ব, সাফল্য এবং সুস্বাস্থ্য। স্নায়ুবিজ্ঞানীরা বলছেন, উচ্চস্বরে বা কর্কশ ভাষায় কথা বললে মস্তিষ্কে করটিসল ও নোরেপিনেফ্রিন নিঃসরণ হয়, যা রক্তচাপ বাড়িয়ে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
একজন দক্ষ বক্তা হতে হলে প্রথমে ভালো শ্রোতা হতে হবে। অন্যের কথা মন দিয়ে শোনা এবং অল্প কথায় স্পষ্ট উত্তর দেওয়া বুদ্ধিমত্তার পরিচয়। সবসময় হাসিমুখে এবং বিনয়ের সঙ্গে কথা বললে শ্রোতার সঙ্গে দ্রুত হৃদ্যতা তৈরি হয়। অন্যের দুর্বলতা নিয়ে তাচ্ছিল্য করা বা ব্যক্তিগত প্রশ্নে বিরক্ত করা থেকে বিরত থাকা উচিত। বিশেষ করে শিশুদের সঙ্গে ধমকের সুরে কথা বলা তাদের মানসিক বিকাশে বাধা দেয়। মনে রাখবেন, কথা বলার সময় অন্তত ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা এবং ৭০ ডেসিবেলের নিচে কণ্ঠস্বর রাখা সৌজন্যবোধের লক্ষণ। নিয়মিত শরীরচর্চা ও পর্যাপ্ত ঘুম মনকে শান্ত রাখে, যা আপনার আচরণে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।