আদা কেবল রান্নার মশলা নয়, এটি হাজার বছরের পুরনো এক ওষুধি বিস্ময়। হজমের সমস্যা, বাতের ব্যথা, মাইগ্রেন এমনকি আলঝেইমারের মতো কঠিন রোগ প্রতিরোধে আদা মহৌষধের মতো কাজ করে। এতে থাকা ‘জিঞ্জারোল’ শরীরের প্রদাহ কমায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তবে সবার জন্য আদা নিরাপদ নয়। বিশেষ করে যাদের ওজন প্রয়োজনের তুলনায় কম, আদা তাদের শরীরের লিপিড কমিয়ে আরও ওজন কমিয়ে দিতে পারে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে আদা অতিরিক্ত সংকোচন ঘটিয়ে অকাল প্রসবের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, বিশেষ করে গর্ভাবস্থার শেষ দিকে। এছাড়া হিমোফিলিয়া বা রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যায় যারা ভুগছেন, তাদের জন্য আদা বিপজ্জনক; কারণ এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। যারা নিয়মিত ইনসুলিন বা উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ খান, তাদের শরীরে আদা ওষুধের কার্যকারিতা বদলে দিতে পারে। আদা খালি পেটে খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে, তাই খাবার খাওয়ার পর আদা চা বা আদার রস গ্রহণ করা সবচেয়ে নিরাপদ। আদা ত্বকের বার্ধক্য রোধে এবং চুলের গোড়া মজবুত করতেও ম্যাজিকের মতো কাজ করে।