৩০ পেরোলেই কিছু মশলা ত্যাগ করুন, কেন জরুরি জানেন? তাহলে পড়ুন

ভারত তার সুপ্রাচীন ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিতে ভরপুর। এই দেশে মশলা শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। একদিকে যেমন রান্নার স্বাদকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দেয় এই মশলা, তেমনই অন্যদিকে এগুলি আমাদের শরীরের জন্যেও বহু উপকারী। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু মশলা আপনার শরীরের জন্য আগের মতো উপকারী নাও থাকতে পারে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু নির্দিষ্ট মশলার অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন হজমের সমস্যা, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই ৩০ বছর বয়স পেরোলে কিছু বিশেষ মশলা খাওয়া এড়িয়ে যাওয়া উচিত। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই মশলাগুলি কী কী:

লাল লঙ্কা:

অনেকেই মশলাদার খাবার ভালোবাসেন। তবে এর কারণে অ্যাসিডিটি এবং বুকজ্বালার মতো সমস্যায় পড়তে হতে পারে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের মেটাবলিজম বা বিপাক ক্রিয়া ধীর হয়ে যায় এবং হজম সংক্রান্ত নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। তাই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, যতটা সম্ভব কম মশলাদার খাবার গ্রহণ করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

হিং:

হিং অনেক ভারতীয় রান্নায় ব্যবহার করা হয় এবং এটি হজমে সহায়ক হিসেবে পরিচিত। তবে বেশি পরিমাণে হিং খেলে অনেকের পেট ফাঁপা এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়াতে পারে। বিশেষ করে যারা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমে (IBS)-এর মতো সমস্যায় ভুগছেন, তাদের হিং অল্প পরিমাণে খাওয়া উচিত।

গোলমরিচ:

গোলমরিচের অনেক ঔষধি গুণ থাকলেও, এর অতিরিক্ত ব্যবহার পাকস্থলীর আস্তরণে জ্বালাতন সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে অ্যাসিড রিফ্লাক্স এবং হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ৩০ বছর পেরোলে গোলমরিচ পরিমিত পরিমাণে খান।

গরম মশলা:

গরম মশলা ভারতীয় রান্নাঘরের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় মশলা। তবে এতে লবঙ্গ, গোলমরিচ, দারুচিনি এবং জায়ফলের মতো বেশ কিছু শক্তিশালী মশলা থাকে, যা পাচনতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। এর অতিরিক্ত সেবনে শরীরে তাপ বৃদ্ধি পায়, যা অস্বস্তি এবং হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

তাই, সুস্থ জীবনযাপন এবং হজমক্ষমতাকে অক্ষুণ্ণ রাখতে ৩০ বছর বয়স পেরোলে এই মশলাগুলি বুঝে শুনে এবং কম পরিমাণে গ্রহণ করাই শ্রেয়। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শও নিতে পারেন।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy