শৈশবে যে হরমোন আপনার শরীরের সঠিক কাঠামো গঠনে এবং হাড়কে মজবুত করতে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে, সেই একই হরমোন প্রাপ্তবয়স্ককালে শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে বৃদ্ধি পেলে বিপদ ডেকে আনতে পারে। হ্যাঁ, চিকিৎসকরা এমনই সতর্কবার্তা দিচ্ছেন।
বিষয়টি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা যাক। আমাদের মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে গ্রোথ হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোন মূলত আমাদের দেহের কাঠামো তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। অর্থাৎ, শরীরের উচ্চতা এবং শারীরিক গঠন অনেকাংশে এই গ্রোথ হরমোনের উপর নির্ভরশীল। শুধু তাই নয়, হাড়ের ঘনত্ব এবং মজবুতিও এই হরমোনের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হয়। শৈশবে যদি এই হরমোন সঠিক পরিমাণে নিঃসৃত না হয়, তাহলে শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে।
তবে, প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় যদি এই গ্রোথ হরমোনের পরিমাণ শরীরে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়, তবে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এর ফলে হাত ও পায়ের হাড় অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে, যা তীব্র ব্যথার কারণ হতে পারে। এমনকি, হাড় দুর্বল ও ভঙ্গুরও হয়ে যেতে পারে। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত গ্রোথ হরমোন হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতাকেও প্রভাবিত করতে পারে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
চিকিৎসকরা তাই শৈশবের গ্রোথ হরমোনের স্বাভাবিক নিঃসরণের গুরুত্বের পাশাপাশি প্রাপ্তবয়স্ককালে এর ভারসাম্য বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিচ্ছেন। শরীরে কোনো অস্বাভাবিক পরিবর্তন লক্ষ্য করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।