মানব দেহে ক্যান্সারের কারণে কোষ অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে ওঠে। কোষের বিকল্প সৃষ্টি হয়। কোষ জোট বেঁধে বাড়তেই থাকে, ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণত দেহের যে স্থানে ক্যান্সার দানা বাঁধে তার নাম অনুযায়ীই ক্যান্সারের নামকরণ করা হয়। অনেক ক্যান্সার রয়েছে যা এক স্থান থেকে শুরু হয়ে অন্য স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাপনের কারণে ক্যান্সার দেখা দেয়। এটে কেবল প্রাণঘাতিই নয়, এর চিকিৎসাও বেশ ব্যয়বহুল।
সম্প্রতি ইতালির এক চিকিৎসক ক্যান্সার নিয়ে বললেন, ক্যান্সার সামলাতে আপনার রান্নাঘরের বেকিং সোডাই যথেষ্ট! এর প্রয়োগে কেবল ক্যান্সার প্রতিরোধই নয়, এর বিস্তৃতি থামানোও সম্ভব। তাছাড়া ইতালির বিশেষজ্ঞ তুলিও সিমোনচিনি আরো বলেছেন, ক্যান্সার এক ধরনের ছত্রাক ছাড়া আর কিছুই নয়। এটাকে বেকিং সোডার মাধ্যমেই ক্যান্সারকে সামাল দেওয়া যায়। আর তা শতভাগ কার্যকর পদ্ধতি। এই বিশেষজ্ঞ ক্যান্সার ধ্বংসে বেকিং সোডা বা সোডিয়াম বাইকার্বোনেটকে ক্ষারীয় থেরাপি হিসাবে ব্যবহার করেছেন।
বিশেষজ্ঞ বলেন, সব ধরনের ক্যান্সারেই নিম্নমাত্রার পিএইচ থাকে। অর্থাৎ, এটি আশপাশের অন্যান্য কোষের চেয়ে কিছুটা অম্লপূর্ণ থাকে। ক্যান্সার কোষের পিএইচ মাত্রা কমাতে বেকিং সোডা দারুণ কাজের। কোষে অক্সিজেন এবং কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধিতেও এটি কাজের। তবে এই অ্যালকালাইন থেরাপি ক্যান্সার হওয়ার চরম সম্ভাবনা থাকাকালীন দারুণ কার্যকর হবে। দেহের প্রাকৃতিক পিএইচ-এর ভারসাম্য বিশ্লেষণের মাধ্যমেই ক্যান্সারের ঝুঁকি নির্ণয় করা যায়। এমআরআই পদ্ধতির মাধ্যমেও দেহের কোনো অংশের অস্বাভাবিক মাত্রার পিএইচ চিহ্নিত করা যায়। আর সেখানেই চলতে পারে বেকিং সোডার চিকিৎসা।