ক্ষুধার্ত পেটে এই চারটি খাবার খেলে হতে পারে বিপদ

খাবার দেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে অনেক সময় নানা ব্যবস্ততায় ঠিক সময়ে খাওয়া সম্ভব হয় না। একবেলার খাবারের সময় গড়িয়ে অন্য বেলায় চলে যায়। আবার অনেকেই ক্ষুধা সামলাতে না পেরে মূল খাবারের পরিবর্তে অন্য খাবার খেয়ে নেন।

সে সময় চোখের সামনে মুখরোচক যে কোনো খাবারই বিনা বাধায় খেয়ে ফেলেন সবাই। কিন্তু জানেন কি, এমন কিছু খাবার আছে যা খুব ক্ষুধার্ত অবস্থায় খেলে আপনার মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেই খাবারগুলো সম্পর্কে-

> প্রচণ্ড ক্ষুধায় ঝাল ও অতিরিক্ত মশলাদার খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারন এতে আপনার ক্ষুধা মিটলেও,তৈরি হবে হজমের সমস্যা। খালি পেটে ঝাল খাবার পাকস্থলীর আবরণের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। তাই ঝাল খাবার খাওয়ার আগে দুধ বা দই খেয়ে নিন। এতে সরাসরি ঝালের প্রভাব পাকস্থলীর ওপর পড়বে না।

প্রচণ্ড ক্ষুধায় যা খাবেন না

> অনেকেই মনে করেন ফল খাওয়ার নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই, যে কোনো সময়ই ফল খাওয়া যায়। ধারণাটি ভুল। ভরা পেটে কিংবা খালি পেটে নয়, ফল খেতে হয় অর্ধ ক্ষুধার্ত অবস্থায়। অর্থাৎ মূল খাবার খাওয়ার অন্তত আধা ঘণ্টা পর ফল খাওয়া নিয়ম। কলা বা আপেলের মতো ফল দ্রুত শক্তি যোগায়। তবে একটি আপেল বা একটা কলা খেয়ে বেশিক্ষণ থাকা সম্ভব নয়। এর সঙ্গে কোনো প্রোটিন ধরণের খাবার যেমন- সামান্য পরিমাণ বাদাম, পিনাট বাটার বা পনির খেতে পারেন।

> কফি, কমলা, সস জাতীয় খাবারগুলোও বেশি ক্ষুধা লাগলে খাওয়া যাবে না। কারণ এসব খাবার খালি পেটে খেলে অ্যাসিডিটি তৈরি হয়। বিশেষ করে যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য খালি পেটে কফি পান করাটা অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই ক্ষুধা পেলে সবজির সালাদ, সিদ্ধ ডাল বা অল্প মশলাযুক্ত মুরগির মাংসও খেতে পারেন।

> খুব ক্ষুধা পেলে অনেকেই সহজ খাবার হিসেবে বিস্কুট বা চিপসকে বেছে নেন। যা মোটেও সঠিক নয়। কারণ এই খাবারগুলো বেশিক্ষণ পেটে থাকে না। এগুলোতে থাকা কার্বোহাইড্রেট কিছুক্ষণের মধ্যেই হজম হয়ে যায়। ফলে আপনার ক্ষুধাভাব দ্রুত ফিরে আসবে। সেক্ষেত্রে খেতে পারেন ২৫০ থেকে ৩০০ ক্যালোরির কোনো খাবার। যেমন, একটি স্যান্ডউইচ বা একটি কেক।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy